কলকাতা : গত 18 ফেব্রুয়ারি বান্দ্রার এক বেসরকারী হাসপাতালে মারা যান তাপস পাল। দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ থাকলেও তাঁর এই আকস্মিক মৃত্যু কেউ প্রত্যাশা করেননি । সবারই মনে প্রশ্ন যে, কী করে হঠাৎ এই দুর্ঘটনা ঘটে গেল ? তাপস পালের স্ত্রী নন্দিনীর দাবি যে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের গাফিলতিতেই এই মৃত্যু । সোশাল মিডিয়ার মাধ্যমে বিস্ফোরক মন্তব্য নন্দিনীর ।
নন্দিনী লিখেছেন, "আমি বিচার চাই, হ্যাঁ ওরা আমার স্বামীকে মেরে ফেলল ।" 1 ফেব্রুয়ারিতে বান্দ্রার সেই হাসাপাতালে ভরতি হওয়া থেকে শুরু করে 18 ফেব্রুয়ারি তাপস পালের মারা যাওয়ার আগের মুহূর্ত অবধি প্রতিটা ডিটেল জানিয়েছেন নন্দিনী, ফেসবুকে একটি সুদীর্ঘ পোস্ট করেছেন ।
ছবি সৌজন্যে নন্দিনী পালের ফেসবুক নন্দিনী জানিয়েছেন যে, বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও তাপস পালের মেডিকেল হিস্ট্রি শুনতে চায়নি হাসপাতালের ডাক্তাররা । তারা নিজেদের মতো করে ট্রিটমেন্ট শুরু করে দেয় । অভিনেতা বা তাঁর পরিবারের কারও কোনও অনুরোধ বা প্রশ্নকে একবারের জন্য়ও গুরুত্ব দেয়নি কর্তৃপক্ষ ।
ছবি সৌজন্যে নন্দিনী পালের ফেসবুক শুরুতেই ভেন্টিলেশনে ঢুকিয়ে দেওয়া হয় তাপস পালকে । তবে নিজের মনের জোরে 7 ফেব্রুয়ারি সেখান থেকে বেরিয়ে আসেন তিনি । তারপর ধীরে ধীরে সুস্থ হলেও ক্যাথিডার বা রাইল টিউব কোওটাই খোলা হয় না বলে জানান নন্দিনী । বিছানা থেকে উঠে চেয়ার বসতে চাওয়ায় তাপস পালের হাত বেঁধে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ নন্দিনীর ।
ফেসবুকে এই পোস্ট করার পর থেকেই শোরগোল পড়ে যায় সোশাল মিডিয়ায় । দেখে নিন নন্দিনী পালের করা সেই পোস্ট..