কলকাতা : 'বিবাহ অভিযান' কোনও রিমেক নয়। কোনও গল্প থেকে অনুপ্রাণিত নয়। এটি প্রত্যেক বাড়ির গল্প। প্রত্যেক বিবাহিত-অবিবাহিতদের গল্প। মজার এই গল্পকে খাতায়-কলমে লিখেছেন অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ। 'বিবাহ অভিযান'-এর গল্প রুদ্রনীলের, চিত্রনাট্যও তাঁরই। কেন এই গল্প তিনি লিখলেন, উত্তরে রুদ্রনীল ETV ভারত সিতারাকে বললেন, "আগেরবার 'ভিঞ্চিদা'-র গল্প গুরুগম্ভীর ছিল। এবার চেয়েছিলাম দর্শক একটু হাসুক। তাই লিখে ফেললাম। আর সবথেকে বড় কথা আমি তো অবিবাহিত। আমি যে বিয়ে করতে আগ্রহী, সেটা বোঝানোর জন্যই এই গল্প।"
"ছবিটা একেবারে মৌলিক", বলছে টিম 'বিবাহ অভিযান'
দক্ষিণ কলকাতার কসবা এলাকায় অবস্থিত একটি বিলাসবহুল শপিং মলের ১৭ তালায় তখন তারকাদের আগমন ঘটছে একে একে। মাথায় টোপর, হাতে রজনীগন্ধা-গোলাপের মালা। জুটিতে ঢুকছেন তাঁরা। আর তাঁদের একে একে নিয়ে আসছেন পরিচালক বিরসা দাশগুপ্ত। ২১ জুন পশ্চিমবঙ্গের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেতে চলেছে SVF প্রযোজিত এবং বিরসা দাশগুপ্ত পরিচালিত আদ্যোপান্ত কমেডি ছবি 'বিবাহ অভিযান'। হাসি-ঠাট্টার মাঝে অনেক কথা ETV ভারত সিতারার সঙ্গে শেয়ার করে নিলেন ছবির মুখ্য চরিত্র রুদ্রনীল ঘোষ, সোহিনী সরকার, অনির্বাণ ভট্টাচার্য, প্রিয়াঙ্কা সরকার, অঙ্কুশ হাজরা, নুসরত ফারিয়া এবং পরিচালক বিরসা দাশগুপ্ত।
বলিউডে আগে এই বিষয় নিয়ে ছবি হয়েছে। তাহল এই ছবিকে "অরিজিনাল" বলার কী কারণ? বিরসা বললেন, "আমার ছবিটা নির্ভেজাল। কোনও কিছুর টোকা বা কপি নয়। রুদ্রনীল বলল এটা আমার বায়োপিক। আমি বলব, এটা আমাদের সকলেরই গল্প। দর্শক কোনও না কোনওভাবে রিলেট করতে পারবে।"
বিরসার ভাষায়, এই ছবিতে নুসরত ফারিয়াকে ইমপোর্ট করে আনা হয়েছে বাংলাদেশ থেকে। তিনিই একমাত্র ইমপোর্টেড ফ্যাক্টর এই ছবিতে। ফারিয়া বললেন, "আমার খুব ভালো লাগছে এই ছবিতে কাজ করে। ২০১৫ সালে আমি প্রথম টলিউডের কাজ করি। সেই ছবিতে আমার হিরো ছিল অঙ্কুশ। এই ছবিতেও তাই। আপনারা প্লিজ় হলে এসে ছবিটা দেখুন। খুব হাসির ছবি, ভালো লাগবে।"