পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / sitara

Aritra Mukherjee on Baba Baby O : বাচ্চাদের সময় অনুযায়ী শিডিউল হত 'বাবা বেবি ও'র শুটিংয়ের : পরিচালক অরিত্র মুখোপাধ্যায়

বক্স অফিসে দারুণ যিশু-শোলাঙ্কি জুটির প্রথম ছবি 'বাবা বেবি ও..' ৷ এবার ছবি নিয়ে ইটিভি ভারতের সঙ্গে দূরভাষ আড্ডায় পরিচালক অরিত্র মুখোপাধ্যায় (Aritra Mukherjee Interview with ETV Bharat)।

By

Published : Feb 25, 2022, 9:55 AM IST

Director Aritra Mukherjee Interview
বাচ্চাদের সময় অনুযায়ী শিড্যুল হত 'বাবা বেবি ও'র শুটিংয়েরঃ পরিচালক অরিত্র মুখোপাধ্যায়

কলকাতা, 25 ফেব্রুয়ারি: দুর্দান্ত সফল উইন্ডোজ প্রোডাকশন্স প্রযোজিত বাংলা ছবি 'বাবা বেবি ও...'। দর্শকরাও যথেষ্ট ভালোবাসা দিয়েছেন যিশু-শোলাঙ্কি জুটিকে । ছবির তিনটি গানই হিট । অ্যালবামে প্রথম, তৃতীয় এবং দশম স্থান নিয়ে বসে আছে গানগুলি । ছবি ঘিরে ইটিভি ভারতের সঙ্গে দূরভাষ আড্ডায় পরিচালক অরিত্র মুখোপাধ্যায় (Aritra Mukherjee Interview with ETV Bharat)।

ইটিভি ভারত :দারুণ সফল 'বাবা বেবি ও' । সাফল্যের আসল চাবিকাঠি কোনটা বলে তোমার মনে হয়?

অরিত্র : কনসেপ্ট, গান, নব্বইয়ের দশকের প্রেমের ফ্লেভার আর যিশু দার সঙ্গে শোলাঙ্কির নতুন জুটি । বড়পর্দায় একেবারে ফ্রেশ মুখ শোলাঙ্কি ৷ সবই ছিল সাফল্যের চাবিকাঠি । এই মায়াবী চাঁদের রাতে, রংমশাল, 'বাবা হওয়া অত সোজা নয়' তিনটে গানই প্রথম দশে । এটাও সাফল্যের জন্য কম কিছু নয় ।

ইটিভি ভারত :বাচ্চাদের সঙ্গে কাজ, ঠিক কতটা কঠিন ছিল বিষয়টা ?

অরিত্র :খুব কঠিন । ওদের সময় অনুযায়ী শুটিং শিডিউল হয়েছে । ওরা কখন অ্যাক্টিভ, কখন ঘুমোচ্ছে, কখন হাসছে সেদিকে খেয়াল রেখে কাজ করেছি । ওদের বাড়িতে গিয়ে এক মাস পড়ে থেকেছি আমরা । সবথেকে বড় কথা, যিশুদা ভীষণ সাপোর্ট করেছে আমাদের । আমাদের দাদা বলে দিয়েছিল ওরা যদি হাসে বা কাঁদে আমার শট বন্ধ করে ওদের শট নিবি । হয়েছেও তেমনটাই । একজন সিনিয়র যদি এভাবে সাপোর্টিভ হয় তাহলে কাজটা অনেক সহজ হয়ে যায় ।

এবার ছবি নিয়ে ইটিভি ভারতের সঙ্গে দূরভাষ আড্ডায় পরিচালক অরিত্র মুখোপাধ্যায়

ইটিভি ভারত :যে চারজন বাচ্চাকে দেখা গিয়েছিল তারা কি বাস্তবেও টুইন ?

অরিত্র : না না । চারজন বাচ্চারই মা আলাদা আলাদা । অনেক খুঁজেছি আমরা বাচ্চা । দুটো বাচ্চার মুখের মধ্যে মিল খোঁজার চেষ্টা করেছি । অনেক বেছে খুঁজে তারপর পেয়েছি পটল আর পোস্তকে । সবথেকে বড় কথা, ওরা কিন্তু ডাবিংও করেছে কান্না হাসির সিনগুলোতে । যে বাচ্চাটা ছবিতে 'মাম্মা' বলেছিল সে আগে কখনও 'মাম্মা' বলেনি । ওকে আমরা শেখানোর চেষ্টা করতাম । ও সেদিন ডাবিং-এর সময়ই প্রথম 'মাম্মা' বলে । ওর মা তো কেঁদেই ফেলেছিল সেদিন । দুজন বাচ্চার বয়স আড়াই কী তিন মাস । বাকি দুজনের সাড়ে সাত মাস । এর আগে 'হামি', 'পোস্ত', 'রামধনু'তেও বাচ্চাদের নিয়ে কাজ করেছি কিন্তু এত ছোট বাচ্চাদের নিয়ে তো করিনি ।কত অভিজ্ঞতার যে সম্মুখীন হলাম এই ছবির মাধ্যমে, বলে শেষ করা দায় ।

ইটিভি ভারত : এই করোনা কালে দাঁড়িয়ে বাচ্চাদের নিয়ে কাজ করাও তো বেশ রিস্ক ছিল ?

অরিত্র :একদমই তাই। আমরা ওদের কেউ ধরতাম না সেভাবে । কোলেও নিতাম না খুব প্রয়োজন ছাড়া । যিশুদা ওদের যখন কোলে নিত তখন রীতিমতো নিজেকে স্যানিটাইজ করে কোলে নিত । আমরাও তাই । যে চাদরে শুটিং হত সেটা সেদিন ধুয়ে ফেলা হত । তাই একই রকমের দু-তিনটে চাদর কিনে রাখা হয়েছিল । পুরো ঘর স্যানিটাইজ করে তারপর শুট হত ওদের নিয়ে । যতটা সম্ভব প্রোটোকল মেনে চলতাম ।

ইটিভি ভারত : গোটা রিসার্চই কি জিনিয়ার (সেন)?

অরিত্র : হ্যাঁ। জিনিয়ার নিজের দাদা সারোগেট ফাদার । সুতরাং ওর কাছে কনসেপ্টটা পরিষ্কার ছিল । আমাকে প্রশ্ন লিখে দিত । সেগুলো আমি চিকিৎসকদের জিজ্ঞেস করে জিনিয়াকে পাঠাতাম । তাতে ওর লিখতে সুবিধা হত ।

ইটিভি ভারত : পরপর দুটো ছবি বানালে দুটোই হিট । গর্ব হচ্ছে ? নাকি টেনশন হচ্ছে আগামী সব কাজ এমন ভাল হবে তো এই ভেবে ?

অরিত্র :গর্ব নয়, ভাল লাগা আছে তো অবশ্যই । দায়িত্ব বাড়িয়ে দিয়েছে । সবথেকে বেশি ভাল লাগে যে আমাদের টিমটা খুব ভাল কাজ করছে । কোনও ছবির সাফল্য তো কারও একার জন্য নয় । এটা একটা টিম ওয়ার্ক । আমি, জিনিয়া, সম্রাজ্ঞী সবাই আমাদের সেরাটুকু দিয়ে কাজ করছি । দর্শক ভালোবাসছেন এটাই প্রাপ্তি । এটাই আশীর্বাদ, এটাই পুরস্কার । আগামীতেও ভিন্নধর্মী গল্প নিয়ে কাজ করার ইচ্ছা আছে আমাদের ।

ইটিভি ভারত :ছবির শেষে বৃষ্টি কীভাবে ফিরে এল দেখালে না কেন?

অরিত্র : ওটা দেখালে খুব ক্লিশে লাগত ব্যাপারটা । খেয়াল করলে দেখবে বৃষ্টি অর্থাৎ শোলাঙ্কি গাড়িতে বসে বসে যখন ভাবছিল তখন মেঘের তার প্রতি সব পজিটিভ দিকগুলো মনে পড়ছিল । আর তার প্রেমিক সৌভিকের সব নেগেটিভ দিকগুলো মনে পড়ছিল । এরপর বৃষ্টি ফিরে আসে । সেটা ছবিতে দেখাইনি । সচেতন দর্শক ওটা বুঝে গিয়েছেন (সহাস্যে)।

ইটিভি ভারত : সারোগেসি বিষয়টা আজও অনেকের কাছে স্পষ্ট নয় । এই ছবির সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় কোনও দোটানা কাজ করেনি বানাবে কি বানাবে না ?

অরিত্র : না। আমি আর জিনিয়া শুরু থেকেই স্ট্রিক্ট ছিলাম যে কাজটা করব আমরা । শিবুদা বারবারই জিজ্ঞেস করত আমাদের গল্প এটাই তো ? এটা নিয়ে আমরা নিশ্চিত কাজ করব তো ? আমরা প্রতিবারই 'হ্যাঁ' বলেছি । আমাদের দোটানা ছিল না কোনও ।

দুর্দান্ত সফল উইন্ডোজ প্রোডাকশন্স প্রযোজিত বাংলা ছবি 'বাবা বেবি ও...'

আরও পড়ুন: সুদেষ্ণার নির্দেশে কাকে খুঁজছেন সুদীপ্তা ? কে হারাল শহর কলকাতায়

ইটিভি ভারত :অনলাইনে ক্লাস করে বাচ্চারা বেশ ক্লান্ত । কেউ মেজাজি হয়ে গেছে, কেউ বা স্কুলে গিয়ে বন্ধুদের চিনতে পারছে না । তোমার কি মনে হয় না এই নিয়েও ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ হওয়া উচিত ?

অরিত্র : অবশ্যই হওয়া উচিত । কখনও এই নিয়ে ভাল স্ক্রিপ্ট পেলে করব । আমার নিজের ছেলেও স্কুলে গিয়ে বন্ধুদের চিনতে পারছে না । কী বিপত্তি বলো তো?

For All Latest Updates

ABOUT THE AUTHOR

...view details