কলকাতা, 16 জুন : শুরুটা হয়েছিল সৌমিত্র চট্টোপাধ্য়ায়ের হাত ধরেই ৷ 1984 সালে সত্যজিৎ রায়ের 'ঘরে বাইরে' ছবিতে মুখ্য চরিত্র বিমলার ভূমিকায় ছিলেন স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত (Swatilekha Sengupta) ৷ তাঁর মুখে শোনা যায় নারীমুক্তির কথা ৷ সে দিন সেই তরুণী অভিনেত্রীর বিপরীতে ছিলেন প্রয়াত অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় ৷ সন্দীপ ও বিমলার চুম্বন দৃশ্য তোলপাড় ফেলে দিয়েছিল সিনেপ্রেমীদের মনে ৷ দীর্ঘ 30 বছর পর আবার সেই জুটি ধরা দেয় দর্শকদের মাঝে ৷ জীবনসায়াহ্নে এসে বাজে 'বেলাশেষে'র গান ৷ এরপর আবার কাছে আসা 'বেলাশুরু'তে (Belashuru) ৷ ছবিতে তাঁদের নাম বিশ্বনাথ সরকার ও আরতি সরকার ৷ ছবি মুক্তির আগেই সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের জীবনাবসান হয় ৷ সেই ছবি মহান তারকার পাশে বসে দেখতে পারলেন বলে আক্ষেপ করেছিলেন স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত ৷ তবে তাঁরও যে আর সেই ছবি দেখা হয়ে উঠবে না, হয়ত তখন বুঝে উঠতে পারেননি ৷ সৌমিত্রর পথ ধরেই তিনিই এ বার চলে গেলেন চিরবিশ্রামে ৷
আরও পড়ুন: বেলাশেষে ফেরা হল না ঘরে, প্রয়াত স্বাতীলেখা
আশির দশকে দর্শক মনে সাড়া জাগিয়েছিল ঘরে বাইরে ছবিটি ৷ সেই শ্যুটিং-এর নানা গল্প নানা সময়ে শোনা গিয়েছে স্বাতীলেখা সেনগুপ্তর মুখে ৷ ভিক্টর বন্দ্যোপাধ্যায় ও সৌমিত্র চট্টোপাধ্য়ায়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে অভিনয় করেছিলেন রঙ্গমঞ্চের এই অভিনেত্রী ৷ সেই সৌমিত্রের সঙ্গেই আবারও তিনি স্ক্রিন শেয়ার করেন বেলাশেষেতে ৷ 2015 সালে নন্দিতা রায় ও শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের সেই ছবিতে পর্দায় প্রত্যাবর্তন ঘটে স্বাতীলেখা সেনগুপ্তর ৷ সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রী আরতি মজুমদারের চরিত্রে তাঁর অভিনয় দর্শকদের মন ছুঁয়ে যায় ৷