মুম্বই : আজ এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ED) অফিসে হাজিরা দেন সুশান্ত সিং রাজপুতের দিদি মিতু সিং । এছাড়া গতকালের পর আজ ফের হাজিরা দিতে দেখা গিয়েছিল প্রয়াত অভিনেতার ফ্ল্যাটমেট সিদ্ধার্থ পিঠানি ও প্রাক্তন ম্যানেজার শ্রুতি মোদিকে ।
সকাল সাড়ে 9টা নাগাদ ED দপ্তরে হাজিরা দেন শ্রুতি । এরপর দুপুরের দিকে সেখানে পৌঁছান মিতু ও সিদ্ধার্থ ।
14 জুন সকালে বান্দ্রার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার করা হয় সুশান্তের ঝুলন্ত দেহ । ওই দিন সুশান্তের ফ্ল্যাটে উপস্থিত ছিলেন সিদ্ধার্থ । তাঁর বয়ান অনুযায়ী, সুশান্তের ঝুলন্ত দেহ তিনিই নিচে নামিয়েছিলেন ।
এদিকে সুশান্তের মৃত্যুর পরই হায়দরাবাদ ফিরে গিয়েছিলেন সিদ্ধার্থ । কীভাবে তদন্ত চলাকালীন মহারাষ্ট্র পুলিশ তাঁকে শহর ছাড়ার অনুমতি দিল তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহলে । আর সেই কারণেই অভিনেতার মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে বিতর্কের কেন্দ্র বিন্দুতে চলে আসেন তিনিও । গতকাল তাঁকে টানা 5 ঘণ্টা জেরা করে ED । এরপর আজ ফের হাজিরা দেন তিনি ।
সূত্রের খবর, সুশান্তের থেকে সিদ্ধার্থ কোনও টাকা নিয়েছেন কি না তা জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা । পাশাপাশি সুশান্তের কম্পানির লেনদেন সংক্রান্ত প্রশ্নও তাঁকে করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে ।
25 জুলাই বিহারের রাজীব নগর থানায় রিয়া সহ ছ'জনের বিরুদ্ধে FIR দায়ের করেন সুশান্তের বাবা কে কে সিং । তাঁর অভিযোগ, সুশান্তের কাছ থেকে মাঝেমধ্যেই টাকা আদায় করতেন রিয়া । এমনকী, একাধিক দফায় রিয়ার পরিবারও অভিনেতার কাছ থেকে টাকা নিয়েছে । সুশান্তের অ্যাকাউন্টে 17 কোটি টাকা ছিল । সেখান থেকে অন্য অ্যাকাউন্টে 15 কোটি টাকা ট্রান্সফার করা হয় বলেও অভিযোগ তোলেন । যদিও সেই অ্যাকাউন্টের সঙ্গে অভিনেতার কোনও যোগাযোগ ছিল না । পাশাপাশি রিয়ার বিরুদ্ধে সুশান্তকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগও তোলেন তিনি । ওই FIR-এর উপর ভিত্তি করেই আর্থিক তছরুপের মামলা দায়ের করে ED ।
7 অগাস্ট প্রথমবার রিয়াকে টানা সাড়ে 8 ঘণ্টা জেরা করে ED । এছাড়াও ওইদিন জেরা করা হয়েছিল শ্রুতি মোদিক ও চার্টার্ড অ্যাকাউটেন্ট রীতেশ শাহকে । এরপর 8 অগাস্ট ম্যারাথন জেরার মুখে পড়তে হয় রিয়ার ভাই শৌভিক চক্রবর্তীকে । টানা 18 ঘণ্টা ধরে তাঁকে জেরা করেন তদন্তকারীরা । এরপর গতকাল শ্রুতি, রিয়া ও শৌভিককে ফের জেরা করেন তদন্তকারীরা । ছিলেন রিয়ার বাবা ইন্দ্রজিৎ চক্রবর্তীও । টানা 9 ঘণ্টা জেরা করা হয় তাঁদের ।