মুম্বই : জামিনে ছাড়া পাওয়ার আগে 18 দিন যোধপুর জেলে থাকতে হয়েছিল সলমন খানকে । সেই সময় মানসিক ভাবে একেবারে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল তাঁর বাড়ির লোকজন । ছেলে কীভাবে আছে সেটা ভেবেই কষ্ট হত বাবা সেলিম খান ও মা সুশীলা চড়কের । জল খাওয়ার সময়ও এক অদ্ভুত অনুতাপ হত তাঁদের । গত বছর একটি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন সেলিম ।
তিনি বলেন, "কোনও সন্তানকে শাস্তি দিলে তার মায়ের কতটা কষ্ট হয়, সেটা ভাবে না বিচারব্যবস্থা । বাবার কষ্ট হলে বিচারক কখনই সন্তানের শাস্তি কমিয়ে দেয় না । আমরা কী দোষ করেছিলাম । তবুও সব সময় একটা অনুতাপ কাজ করত, সেটা জল খাওয়া হোক বা AC চালানো হোক । খালি মনে হত সলমন কী অবস্থায় রয়েছে ।"
যোধপুর জেলের 343 নম্বর কয়েদিকে এখনও মনে পড়ে সেলিমের । তিনি বলেন, "আমি যোধপুর গেছিলাম । সেখানে সবাই বলছিল যে, আরে 343-কে নিয়ে আয়, এই তো 343 এসে গেছে । এবং সেই 343 ছিল সলমন ।" বলতে বলতে চোখে জল এসে যায় সেলিমের । তিনি বলেন যে, বাবা-মাকে কষ্ট দিয়ে নিজেও ভালো ছিলেন না সলমন ।
শুধমাত্র বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকবেন বলে বান্দ্রার ওই সাদামাটা অ্যাপার্টমেন্টটা ছাড়েননি সলমন । অবাক সেলিম বললেন, "যে কেউ ওর ফ্ল্যাট দেখলে অবাক হয়ে যাবেন । স্টার বলে নয়, কোনও সাধারণ মানুষও কীভাবে এত ছোটো ফ্ল্যাটে থাকতে পারে সেটা না দেখলে বিশ্বাস হবে না । 1000 স্কোয়ার ফিটের ফ্ল্যাটে ওর জিমও রয়েছে, সব জামাকাপড়ও রয়েছে, জুতোও রয়েছে, কুকুরও রয়েছে । শুধুমাত্র আমি এই অ্যাপার্টমেন্ট ছাড়তে পারি না বলেই ও এখানে রয়ে গেছে ।"
সলমন নিজেও একই কথা বলেন IANS-কে । নিজের শৈশবকে কখনই ভুলতে পারবেন না আকাশের তারা ছোঁয়া এই তারকা