১৯৯৬ সাল। 'বিয়ের ফুল' ছবিতে ছটফটে মিষ্টি একটি মেয়ে নজর কাড়লেন সবার। তিনি রানি মুখার্জি। আর এর একবছরের মধ্য়েই 'রাজা কি আয়েগি বারাত' ছবি দিয়ে বলিউডে পদার্পণ তাঁর। 'কুছ কুছ হোতা হ্যায়' রানির ক্যারিয়ারে একটা গেমচেঞ্জার। ছবির 'টিনা' চরিত্রটি প্রথমে টুইঙ্কেল খান্নাকে অফার করা হয়েছিল, কিন্তু সেটি পরে রানিকে অফার করা হয়।
ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই রানির একটা ভয় ছিল। তিনি কোনওদিন টাইপকাস্ট হতে চাননি। তাই তিনি কমল হাসানের বিপরীতে 'হে রাম' ছবিতে সাইন করেন। সেখানে তাঁকে এক বাঙালি স্কুল টিচারের ভূমিকায় অভিনয় করতে দেখা যায়। যিনি কলকাতায় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা চলাকালীন ধর্ষিত হয়ে খুন হন। যদিও এই অন্যধারার ছবি বক্সঅফিসে সেভাবে সাড়া ফেলতে পারেনি। কিন্তু প্রসংশিত হয় রানির অভিনয় এবং অস্কারে প্রদর্শনের জন্য নির্বাচিত হয়। শাহরুখের সঙ্গে রানির ছবি 'পহেলি'-ও অস্কার অবধি নিজের রাস্তা তৈরি করেছিল।
রানি তাঁর প্রথম ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড পান ২০০৪ সালে, 'হাম তুম' ছবির জন্য। সেই একই বছর তিনি আরও একটি ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড পান সেরা সাপোর্টিং অ্যাক্ট্রেস হিসেবে 'যুবা' ছবির জন্য।
হাস্কি গলার স্বর, বুদ্ধিদীপ্ত চাহনি আর অভিনয়ের দক্ষতা নিয়ে রানি ধীরে ধীরে শীর্ষে পৌঁছচ্ছিলেন বলিউডের। এরপরই তাঁর ক্যারিয়ারের অন্যতম ল্যান্ডমার্ক ছবিটি আসে। ২০০৫ সাল, সঞ্জয় লীলা বনসালীর 'ব্ল্যাক' ছবিতে মূক-বধির ও অন্ধ মেয়ের চরিত্রে রানি জাস্ট নির্বাক করে দিলেন দর্শককে। বক্স অফিসে সাফল্যের সঙ্গে সঙ্গে এই ছবি সমালোচকদেরও প্রশংসা অর্জন করে।
'চোরি চোরি চুপকে চুপকে', 'ভির জ়ারা', 'চলতে চলতে'-র মতো অসংখ্য ছবি তাঁকে বলিউডের রানি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে। তবে সাফল্যের সঙ্গে ব্যর্থতাটাও অবশ্যম্ভাবী। 'তারা রাম পাম', লাগা চুনরি মে দাগ','সাওয়ারিয়া' বা 'দিল বোলে হরিপ্পা'-র মতো ছবি রানির ক্য়ারিয়ারের কিছু কালো দাগ।