মুম্বই : 'আর তারা সুখে শান্তিতে ঘর করতে শুরু করল...'। ছেলেবেলার রূপকথার গল্পগুলির শেষে মূলত এই লাইনই দেখতে পাওয়া যায় । শুধুমাত্র রূপকথা নয় একাধিক ছবিতেই সুখী পরিবারের কথা বলা হয়ে থাকে । কিন্তু, বাস্তবে কোনও পরিবারই পুরোপুরি সুখী হতে পারে না । গল্প ও সিনেমাতেই একমাত্র সুখী পরিবারের হদিশ মেলে । না হলে প্রতিটি পরিবারের কোনও না কোনও অন্ধকার দিক রয়েছে বলে মনে করেন কাজল ।
1973 সালে সোমু মুখার্জিকে বিয়ে করেছিলেন তনুজা । বিয়ের কয়েক বছর পরই তাঁদের বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছিল । যদিও তারপর থেকে আর কখনও বিয়ে করেননি তাঁরা কেউই । বাবা-মায়ের বিবাহ বিচ্ছেদের সময় কাজলের বয়স ছিল মাত্র সাড়ে চার বছর । আর তাঁর বোন তনিশা তখন আরও ছোটো ছিলেন ।
বাবা-মায়ের সঙ্গে কাজল ও তনিশা তাঁদের দুই বোনকে ছোটো থেকে বড় করেছিলেন তনুজা একাই । সম্প্রতি অনলাইন প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পেয়েছে কাজলের আপকামিং ছবি 'ত্রিভঙ্গ'। সেই ছবির প্রচারে গিয়ে একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সামনে বাবা-মায়ের বিবাহ বিচ্ছেদের সময়কার সেই অভিজ্ঞতার কথা ভাগ করে নিয়েছিলেন কাজল । তিনি বলেন, "বাবা-মায়ের যখন বিবাহ বিচ্ছেদ হয় তখন আমার বয়স ছিল মাত্র সাড়ে চার বছর । আমার অনেক বন্ধু রয়েছে যাদের বাবা-মা এখনও একসঙ্গে রয়েছেন । তবে আমার বাবা-মা আলাদা থাকলেও, তার প্রভাব কখনও আমাদের বড় হয়ে ওঠায় পড়েনি । তাদের দু'জনকেই আমি খুব ভালোবাসি ।" 2008 সালে মৃত্যুর আগে পর্যন্ত সোমু মুখার্জির সঙ্গে কাজল ও তনিশার সম্পর্ক খুব ভালোই ছিল ।
সোমু মুখার্জির সঙ্গে তনিশা ও কাজল তবে মায়ের সঙ্গে কাজলের সম্পর্ক একেবারেই বন্ধুর মতোই । নিজে এক সন্তানের মা হওয়ার পরই তাঁদের দুই বোনকে বড় করে তোলার ক্ষেত্রে মায়ের ত্যাগ ও কষ্টগুলি সঠিকভাবে উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন কাজল ।