মুম্বই : "সরকার যদি মনে করে পড়ুয়ারা কোনও ভুল করছে তাহলে তাদের সঙ্গে আলোচনা করুক । কিন্তু, পুলিশ পাঠিয়ে ক্যাম্পাসের মধ্যে তাদের মারধর করা একেবারেই ঠিক নয় ।" নাগরিকত্ব (সংশোধনী) আইন, 2019 সম্পর্কে এই মন্তব্য করেন পরিচালক কবীর খান ।
CAA-র প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা দেশ । এই আইনের বিরুদ্ধে একাধিক জায়গায় বিক্ষোভ দেখানো হয় । কোথাও বাস, ট্রেন ও পুলিশের গাড়ি পুড়িয়ে আবার কোথও রাস্তা অবরোধ করে । এই বিক্ষোভের আঁচ গিয়ে পড়েছিল দিল্লির জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে । সেখানে ক্যাম্পাসের মধ্যে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিল পড়ুয়ারা । এরপর পুলিশ সেখানে পৌঁছলে তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোড়ে বলে অভিযোগ । পালটা গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে । পুলিশের পদক্ষেপ নিয়ে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছেন বি টাউনের একাধিক তারকা । আর এবার সেই প্রসঙ্গে মন্তব্য করলেন কবীর খানও ।
ওই ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "বিষয়টা আমার খুব খারাপ লেগেছে । ঘটনার ওই ফুটেজ আমি দেখেছি । নিজের মত প্রকাশের সম্পূর্ণ স্বাধীনতা রয়েছে পড়ুয়াদের । তারা প্রতিবাদও দেখাতে পারে । কিন্তু, কেউ যদি না চান যে পড়ুয়ারা প্রতিবাদ করুক তাহলে সেটা গণতন্ত্রের হত্যা । পড়ুয়ারা যদি কোনও বিষয় পছন্দ না করে তারা যদি সেটা নিয়ে কথা বলতে চায় তাহলে তাদের চুপ করানো একেবারেই ঠিক নয় । সরকার যদি মনে করে পড়ুয়ারা কোনও ভুল করছে তাহলে তাদের সঙ্গে আলোচনা করুক । কিন্তু, পুলিশ পাঠিয়ে ক্যাম্পাসের মধ্যে তাদের মারধর করা একেবারেই ঠিক নয় । এই ধরনের সংস্কৃতি আমরা চাই না ।"
এরপর ঘটে যায় আরও একটি ঘটনা । 5 জানুয়ারি দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে মুখে কাপড় বেঁধে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা । এই ঘটনায় জখম হন শিক্ষক ও পড়ুয়ারা । এই ঘটনার প্রতিবাদে সরব হন বি টাউনের একাধিক তারকা । এই ঘটনা প্রসঙ্গে কবীর খান বলেন, "পড়ুয়ারা দেশের ভবিষ্যত । বিশ্ববিদ্যালয় ক্য়াম্পাসগুলি আমাদের দেশের ভবিষ্যত । আমার মনে হয় এটাকে সম্মান করা দরকার "
কাজের দিক থেকে আর কয়েকদিন পরই মুক্তি পাবে তাঁর প্রথম ওয়েব সিরিজ় 'দা ফরগটেন আর্মি : আজ়াদি কে লিয়ে'। স্বাধীনতা যুদ্ধে আজ়াদ হিন্দ ফৌজের ভূমিকা তুলে ধার হয়েছে এই সিরিজ়ে । 24 জানুয়ারি মুক্তি পাবে এই সিরিজ় ।
