ETV ভারত সিতারা : ETV ভারত সিতারায় আপনাকে স্বাগত । কেমন আছেন ?
জিশু সেনগুপ্ত : অনেক ধন্যবাদ, আমি ভালো আছি ।
ETV : লকডাউনে গৃহবন্দী অবস্থা কেমন কাটালেন ?
জিশু : ভালোই । মাঝে মধ্যে দারুণ সময় কাটিয়েছি, মাঝে মধ্যে বিরক্তও হয়েছি । অনেক ধরনের অনুভূতি মিশ্রিত ছিল সময়টাতে ।
ETV : আপনার ছবি 'শকুন্তলা দেবী' মুক্তি পেয়েছে সদ্য । সেখানে শকুন্তলা দেবীর স্বামীর চরিত্র আপনাকে দেখা গেছে । মানুষটি কেমন?
জিশু : চরিত্রটির নাম পরিতোষ ব্যানার্জি । এর থেকে বেশি আমি কিছু বলতে চাই না । তা না হলে অনেককিছু বলা হয়ে যাবে । সবাইকে ছবিটা দেখার অনুরোধ করব ।
ETV : আপনি এত পরিচালকদের সঙ্গে কাজ করেছেন । অণু মেননকে এই চরিত্রটির জন্য 'হ্যাঁ' বলার কারণ কী ছিল ?
জিশু : ছবির স্ক্রিপ্ট, ছবির গল্প... কে চাইবে না এই বায়োপিকের অংশ হতে ! ছবিটা আমাকে অফার করার পর, আমি স্ক্রিপ্ট পড়ি । অসাধারণ লাগে । সেইজন্যই 'শকুন্তলা দেবী'র জন্য অণুকে 'হ্যাঁ' বলি ।
ETV : 'মণিকর্নিকা', 'বরফি', 'পিকু'র মতো ছবিতে কাজ করেছেন । বিদ্যা বালনের স্বামীর চরিত্রে অভিনয় করার অভিজ্ঞতা কেমন ছিল ?
জিশু : অসাধারণ অভিজ্ঞতা । বিদ্যা একেবারে সুইটহার্ট । এতজনের সঙ্গে কাজ করেছি, বিদ্যাকে আমার মনে হয়েছে সবচেয়ে সুইট কো-স্টার । প্রচণ্ড বিনয়ী একজন মানুষ । বিদ্যার কাজের ধরন আমার খুব ভালো লেগেছে । সবচেয়ে বড় কথা আমি, বিদ্যার বিশাল ভক্ত । এবং সেটা বিদ্যা জানেন । এক মুহূর্তের জন্যও মনে করাননি যে, উনি কত বড় স্টার । 'রাজকাহিনি', ঋতুপর্ণ ঘোষ পরিচালিত ছবিগুলোয় আমার কাজ দেখেছেন বিদ্যা । তাই এই ছবিটার আগে থেকেই উনি আমাকে চিনতেন । সেটে মজা করতেন, জোক বলতেন ।
ETV : আপনার কো- অ্যাক্টরদের মুখেই শোনা, আপনি সেটে থাকলে খুব মজা হয় । এখানেও নিশ্চয়ই তাই হয়েছে..তেমন কোনও ঘটনা শেয়ার করবেন ?
জিশু : সেই ঘটনাগুলোর একটা-দুটো বলা খুব মুশকিল । গোটা ছবিটাই একটা স্মরণীয় মুহূর্ত বলা যেতে পারে । আমরা সবসময় সেটে মজা করতাম । অণু আমাদের নিয়ে পাগল হয়ে যেতেন ।
ETV : এই ছবিটা তো অঙ্ক নিয়ে । আপনি নিজে অঙ্কে কতটা ভালো ছিলেন ?
জিশু : আমি পড়াশোনায় খুব খারাপ ছিলাম । এই প্রশ্নটা আমাকে প্লিজ় করবেন না (হাসি)...।
ETV : হলে মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল, কিন্তু OTT প্ল্যাটফর্মে ছবিটি মুক্তি পাচ্ছে । এই বিষয়টি নিয়ে আপনার কী প্রতিক্রিয়া ?
জিশু : আমি সবসময়ই ভাবতাম, OTT-ই হয়তো ছবির ভবিষ্যৎ । কিন্তু সেই ভবিষ্যৎটা যে এত তাড়াতাড়ি চলে আসবে, সেটা ভাবতে পারিনি । আমার এটাও বিশ্বাস, সিনেমা হল থাকবে । 'গ্ল্যাডিয়েটর', 'অবতার', 'বাহুবলী'র মতো ছবি সবসময় তৈরি হবে । লার্জার দ্যান লাইফ ব্যাপারটা মানুষ দেখতে চাইবেন । সেই কারণেই সিনেমা হল থাকবে । তবে এই মুহূর্তে আমাদের কাছে অন্য কোনও উপায় নেই । একসঙ্গে 200 দেশের মানুষ দেখতে পাবেন । বড় স্ক্রিনে সবসময় নিজেকে দেখতে ভালো লাগে । তবে এটা ভেবে ভালো লাগছে এতগুলো দেশে, এতগুলো মানুষ দেখতে পাবে ।