মুম্বই : ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবতে খুব একটা পছন্দ করেন না অভিনেতা অজয় দেবগন । বাস্তবে থাকতেই পছন্দ করেন তিনি । অজয় জানান, নিজের স্টারডম নিয়ে না ভাবায় বাস্তবের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ রয়েছে ।
প্রয়াত অ্যাকশন ডিরেক্টর ভীরু দেবগনের ছেলে অজয় । 1991 সালে 'ফুল অর কাঁটে'-তে অভিনয় করে বলিউডের যাত্রা শুরু করেছিলেন । প্রথম ছবিই হিট । তখন থেকেই দর্শকের মনে জায়গা করে নেন তিনি ।
অজয় IANS-কে বলেন, "সৌভাগ্যবশত, আমার জীবনে আমাকে কখনও মুশকিলে পড়তে হয়নি । সবকিছু ঠিকমতো হয়ে গেছে । আমি আমার জার্নি থেকে শুধু কঠোর পরিশ্রম করতে শিখেছি ।" তিনি জানান, অন্য কারও সঙ্গে নিজের তুলনা করাও তিনি পছন্দ করেন না । পিছনে ঘুরে দেখা তাঁর পছন্দ নয়, শুধু আজকের দিনটাকেই দেখেন ।
তিনি আরও বলেন, "আমি সাফল্যে গা ভাসিয়ে দিই না আবার ব্য়র্থতাতেও ভেঙে পড়ি না ।"
স্টারডম থেকে নিজেকে দূরে রাখেন কী করে ? তিনি বলেন, "আমি এটা নিয়ে ভাবি না, আমি এটা নিয়ে কেয়ারও করি না । আমি বেশি বাইরে যাই না । আমি আমার ক্ষমতাও দেখাই না । আমার মনে হয়, আমরা দু'জনই এটা নিয়ে কেয়ার করি না । আমরা নিজেদের জায়গায় ভালো আছি ।"
ইন্ডাস্ট্রিতে 28 বছরে 100 টারও বেশি ছবি করে ফেলেছেন অজয় । তিনি একজন অভিনেতা, পরিচালক, প্রযোজক এবং কয়েকটি গানে গলাও দিয়েছেন । এই সবকিছুই তাঁর স্টেটাসকে আরও ক্ষমতা দেয় ।
কারও কাছে তিনি দু'টি জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেতা, কারও কাছে আবার বলিউডের সিংঘম ।
সময়ের সঙ্গে নিজের ছবি পছন্দের ধরনও পরিবর্তন করেছেন অভিনেতা । তাঁর জনপ্রিয় ছবিগুলির মধ্যে রয়েছে 'বিজয়পথ', 'দিলজলে', 'গঙ্গাজল', 'ওমকারা', 'দৃশ্যম', 'টোটাল ধামাল', 'দিলওয়ালে', 'হাম দিল দে চুকে সনম', 'কোম্পানি', 'যুবা', 'গোলমাল' ও 'সিংঘম' । তাঁকে শেষ দেখা গেছে কমেডি ছবি 'দে দে প্যায়ার দে'-তে ।
ইন্ডাস্ট্রিতে টিকে থাকার একমাত্র মন্ত্র হল কঠোর পরিশ্রম । অজয় বলেন, "আমি জঁরাকে রোটেট করতে ভালোবাসি । নাহলে একই কাজ বারবার করতে থাকলে নিজের কাজে নিজে উপভোগ করতে পারব না । "
এরপর তাঁকে দেখা যাবে পিরিয়ড ড্রামা 'তানিজি : দা আনসাং ওয়ারিয়র'-এ । ছবিতে রয়েছেন কাজলও । কিংবদন্তি ফুটবলার সয়ৈদ আবদুল রহিমের জীবনের উপর তৈরি 'ময়দান'-এও রয়েছেন অভিনেতা ।
তিনি বলেন, "আমি ভবিষ্যৎ নিয়ে পরিকল্পনা করি না । যেমন- আমাকে এটা করতে হবে বা আমাকে এখানে পৌঁছতে হবে । আমি আমার সারা জীবন শান্তিতে কাজ করে যেতে চাই ।"