সিনেমায় গান একটা বড় ভূমিকা পালন করে । সিনেমার গল্প ভালো না হওয়া সত্ত্বেও শুধু গানের উপর ভিত্তি করেই তা বক্স অফিসে বাজিমাত করতে পারে । তবে শুধু সিনেমাই বা কেন, মানুষের মনের উপরও প্রভাব ফেলতে পারে গান । একটা ভালো গানই পারে মন ভালো করে দিতে । আর সেই গানটা যদি শ্রেয়া ঘোষালের হয় তাহলে তো কোনও কথাই নেই । তিনি এমন একজন গায়িকা যাঁর গান পছন্দ করেন প্রায় সব বয়সের শ্রোতাই । কণ্ঠের জাদুতে যে কোনও মানুষের মন জয় করে নিতে পারেন তিনি । আজ 36-এ পা দিলেন জনপ্রিয় এই গায়িকা । এই বিশেষ দিনে দেখে নেওয়া যাক তাঁর পাওয়া পুরস্কারগুলি ।
2002 সালে পরিচালক সঞ্জয় লীলা বনশালির হাত ধরে সিনেমায় প্লেব্যাকের সুযোগ পান শ্রেয়া । 'দেবদাস' ছবির একাধিক গানে গলা দেন তিনি । 'বারি পিয়া', 'ছলাক ছলাক', 'ডোলা রে ডোলা', 'সিলসিলা ইয়ে চাহাত কা', 'মোরে পিয়া' গানগুলি গেয়ে দর্শকদের মন জিতে নেন । ন্যাশনাল ফিল্ম অ্যাওয়ার্ডও পুড়ে নেন নিজের ঝুলিতে । এছাড়া ছবির 'বারি পিয়া' গানের জন্য একাধিক পুরস্কার জেতেন তিনি ।
'দেবদাস' ছবির 'ডোলা রে ডোলা' গান এখনও দর্শকদের কাছে যথেষ্ট জনপ্রিয় । ছবিতে এই গানের সঙ্গে নাচতে দেখা গিয়েছিল মাধুরি দীক্ষিত ও ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চনকে । তাঁদের অনবদ্য নাচের সঙ্গে তাল মিলিয়ে শ্রেয়ার গান ছিল অসাধারণ । এই গানের জন্য ফিল্মফেয়ারে সেরা প্লেব্যাক সিঙ্গারের অ্যাওয়ার্ড জিতে নেন তিনি । এছাড়া IIFA অ্যাওয়ার্ড ও জেতেন ।
2004 সালে জন আব্রাহাম ও বিপাশা বসু অভিনীত 'জিসম' ছবির রোম্যান্টিক ট্র্যাক 'জাদু হ্যায় নাশা হ্যায়' গানটি গেয়েছিলেন শ্রেয়া । তাঁর কণ্ঠস্বর ছাড়া পূর্ণতা পেত না এই গান । এর জন্য ফিল্মফেয়ারে সেরা মহিলা প্লেব্যাক সিঙ্গারের খেতাব জিতে নেন তিনি । এছাড়া এর জন্য IIFA ও স্টার স্ক্রিন অ্যাওয়ার্ডও জেতেন ।
'প্যাহেলি' ছবিতে অভিনয় করেছিলেন রানি মুখার্জি ও শাহরুখ খান । সোনু নিগমের সঙ্গে টিম আপ করে ছবির 'ধীরে জলনা' গানটি গেয়েছিলেন শ্রেয়া । এই গানের জন্য জাতীয় পুরস্কার নিজের ঝুলিতে পুড়ে নেন তিনি ।