মুম্বই : বৃহনমুম্বই পৌর কর্পোরেশন (BMC)-র কর্তৃপক্ষ মেট্রোর কারশেডের জন্য 2700 টি গাছ কাটার অনুমোদন দিয়েছে । এই অ্যারে কলোনিকে মুম্বইয়ের ফুসফুস বলা হয় ।
এই ঘটনার প্রতিবাদে গতকাল সকালে অ্যারে ফরেস্টে সকলে জমায়েত হন ও মানব চেইন তৈরি করেন ।
অভিনেত্রী শ্রদ্ধা কাপুর জানান, এই "মর্মান্তিক" অনুমতি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগটি নথিভুক্ত করতে তিনি এই প্রতিবাদে যোগ দিয়েছেন এবং আশা করছেন যে, এটার উলটো হবে ।
ইনস্টাগ্রাম থেকে লাইভ করতে গিয়ে তিনি বলেন, "আমরা সকলে এখানে প্রকৃতির সমর্থনে এসেছি । আমাদের দূষণের সমস্যা রয়েছে, তাহলে কী করে গাছ কাটার অনুমতি দেওয়া হল ?"
তিনি আরও বলেন, "মুম্বইয়ের ফুসফুস কাটার অনুমতি আপনারা দিলেন কী করে ? 2700 টারও বেশি গাছ কাটার কথা বলা হয়েছে, যা হাস্যকর । এই অনুমতিকে গ্রাহ্য করাও হাস্য়কর । এটা হতে পারে না ।"
এই বিষয়ে শুধু শ্রদ্ধা নন, আরও অনেক বলিউড তারকারাই চিন্তা প্রকাশ করেছেন ।
মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীশকে ট্যাগ করে অভিনেত্রী দিয়া মির্জা টুইট করেন, "মেট্রোর বিরুদ্ধে নেই । দয়া করে তৈরি করুন । কিন্তু ইকোলজিকাল সিস্টেমকে নষ্ট করে নয় । কারশেডের জন্য বিকল্প নিশ্চয় আছে । হয়তো এটা আরও সময় নেবে । কিন্তু ভালোটাকে বেছে নিন । অ্যারে ফরেস্টকে হত্যা বন্ধ হোক ।"
রবিনা ট্যান্ডনও এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন । তিনি টুইট করেন, "মর্মান্তিক যে এটা আমরা হতে দিচ্ছি । কেন নাগরিকদের আওয়াজ শোনা যাচ্ছে না ?"
অ্যারের গাছ কাটাকে "খুব খারাপ খবর" বললেন অভিনেতা রণদীপ হুডা । তিনি প্রধানমন্ত্রী ও মহারাষ্ট্রর মুখ্যমন্ত্রীকে ট্যাগ করে টুইট করেন, "আমরা অসহায় নাগরিকরা কী করতে পারি ? অ্যামাজ়নে আগুন লাগায় আমরা কাঁদি এবং নিজেদের বাড়ির উঠোনে ধ্বংস হয়ে যাওয়াটাকে চুপচাপ দেখি ? আমাদের কী করা উচিত ?"
অভিনেত্রী ইশা গুপ্তা এই সিদ্ধান্তকে "হাস্যকর" বলেছেন । তিনি টুইট করেন, "আমাদের পরিবেশ রাজনীতির বিষয় হওয়া উচিত নয় । আমাদের বাচ্চাদের জন্য কিছু রেখে যাওয়া দরকার । শুধু কেবল গাড়ি বা মেট্রো নয় । আমাদের কাছে খুব শিগগিরিই একটি গাছ ব্যয়বহুল জিনিস হয়ে উঠবে ।"
কমেডিয়ান কপিল শর্মা বলেন, সরকার "যথেষ্ট বুদ্ধিমান এবং আমি আশা করব তাঁরা সঠিক সিদ্ধান্ত নেবেন । মেট্রো তৈরি করা অপরিহার্য । সুতরাং কীভাবে গাছ বাঁচিয়ে এই প্রকল্পটি করা সম্ভব তা সরকারকেই ভাবতে হবে ।"
প্লেব্যাক সিংগার শানও এই প্রতিবাদে উপস্থিত ছিলেন । তিনি বলেন, "আমরা কোনও সমাধান পাচ্ছি না । নিশ্চয় আমরা চাই না গাছগুলি কাটা হোক । এটা হওয়া উচিত নয় । আমাদের এটাকে এড়িয়ে চলা উচিত ।"