হিন্দি সিনেমার শোম্যান রণবীর রাজ কাপুর তাঁর বাবা পৃথ্বীরাজ কাপুরের ছত্রছায়া থেকে বেরিয়ে খুব অল্প সময়ের মধ্যে সিনেমা জগতে নিজের এক আলাদা পরিচয় তৈরি করেন। ১১ বছর বয়সে ক্ল্যাপার বয় হিসাবে নিজের ক্যারিয়ার শুরু করেন রাজ কাপুর। ফিল্ম নির্মাতা কিদার শর্মার অধীনে সহ পরিচালক হিসেবে কাজ করেন কিছুদিন। কিদার শর্মাই রাজ কাপুরের মধ্যে একজন অভিনেতাকে খুঁজে পান এবং 'নীলকমল' ছবিতে মধুবালার বিপরীতে কাপুরকে কাস্ট করেন।
'তিসরি কসম', 'ফির সুবাহ হোগি', 'আনারি', 'ছাইলা', 'সঙ্গম' ও 'মেরা নাম জোকার'-এর মতো ছবিতে অভিনয় করে রাজ কাপুর ইন্ডাস্ট্রিতে নিজেকে অভিনেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হন। মাত্র ২৪ বছর বয়সে রাজ কাপুর বিখ্যাত RK Studio-র নির্মান করেন, যা পরে এক ইতিহাস রচনা করে। রাজ কাপুরের ছবিতে এমন একটা ব্যাপার থাকত, যেটা সমাজের সমস্ত বর্গের মানুষকে আকর্ষণ করত। তাঁর 'আগ', 'আওয়ারা', 'শ্রী ৪২০', 'জাগতে রহো', 'বুট পলিশ' ও 'জিস দেশ মে গঙ্গা বহেতি হ্যায়'-র মতো ছবিতে সেই সময়ের সমাজ ব্যবস্থার ছবি ফুটে উঠেছিল।
মিউজ়িক নিয়েও রাজ কাপুরের মধ্যে একটা প্যাশন ছিল। ছবির মিউজ়িকে প্রতিটা ছোটো ছোটো বিষয়ের দিকে তিনি নজর দিতেন ভীষণভাবে। 'আওয়ারা' ছবিতে 'ঘর আয়া পরদেশী' গানটি তো তিনি সম্পূর্ণ বদলেই দিয়েছিলেন। আলাদা করে আলাপ যোগ করেছিলেন। কাপুর শুধুমাত্র একজন অভিনেতা বা পরিচালক ছিলেন না। তিনি একজন দক্ষ সংগীতকারও ছিলেন। সংগীতের ক্ষমতাকে তিনি খুব ভালো বুঝতেন। সংগীতশিল্পী মুকেশের মৃত্যুর পর কাপুর বলেছিলেন "আমি আমার কণ্ঠকে হারালাম আজ।"