মুম্বই : ১৯৬৯ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর মুক্তি পায় রাজেশ খান্না ও শর্মিলা ঠাকুরের রোম্যান্টিক কাল্ট আরাধনা । দেখতে দেখতে ৫০টা বছর পার করল এই ছবি ।
সে সময় হিন্দি সিনেমা চলত গতে বাঁধা নিয়ম মেনে। আরাধনা ভাঙল সেই নিয়ম। পরিচালক শক্তি সামন্তর হাত ধরে আরাধনা হল নতুন ভারতীয় ছবির পথ প্রদর্শক। ছবিতে দ্বৈতভূমিকায় ছিলেন রাজেশ খান্না । শর্মিলা ঠাকুরের প্রেমিক ও ছেলের ভূমিকায় দেখা গেছিল তাঁকে।
ছবি প্রযোজনা ও পরিচালনা শক্তি সামন্তর । এই ছবির সাফল্যের পর রাতারাতি সুপারস্টার হয়ে যান রাজেশ খান্না । ১৯৬৯ থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত মোট ১৭টি ছবিতে অভিনয় করেন তিনি। তার মধ্যে ১৫ টিতেই সোলো হিরো রাজেশ। প্রতিটিই সুপারহিট। শুধুমাত্র ভারতে নয় । সোভিয়েত ইউনিয়নেও যথেষ্ট সাফল্য পায় আরাধনা ।
আরাধনা শর্মিলা ঠাকুরের কাছে খুবই স্পেশাল । এই ছবির জন্য প্রথমবার ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডে সেরা অভিনেত্রীর খেতাব জেতেন তিনি । সেইসময় তিনি ছিলেন প্রেগন্যান্ট । তার কয়েক মাস পরই জন্ম হয় সইফ আলি খানের ।
১৯৪৬ সালের হলিউড ছবি 'টু ইচ হিস ওন' থেকে অনুপ্রাণিত আরাধনা । ছবির ভাবনা চিন্তার মাঝেই একদিন সামন্তর বাড়ি যান প্রযোজক সুরিন্দর কাপুর । 'এক শ্রীমান এক শ্রীমতি' ছবিটি দেখাতে গিয়েছিলেন তিনি । অদ্ভুতভাবে মিলে গিয়েছিল দুটি ছবির ক্লাইম্যাক্স । সঙ্গে সঙ্গে ছবিটি না করার সিদ্ধান্ত নেন সামন্ত । এরপর তাঁর অফিসে যান গুলশন নন্দা ও মধুসূদন কালেলকর । সব শুনে ছবির ক্লাইম্যাক্স পরিবর্তনের পরামর্শ দেন তাঁরা । সমস্যা সমাধানের পরই শুরু হয় শুটিং ।
পরিণতি পায়নি অরুণ-বন্দনার লাভ স্টোরি । তবে এই ছবি আরও খ্যাতি পায় তার এভারগ্রিন গানের জন্য । রূপ তেরা মস্তানা,মেরে স্বপ্নো কি রানি কব আয়েগি তু, কোরা কাগাজ়ের মতো অনেক অসাধারণ গান সমৃদ্ধ করেছে আরাধনাকে ।
মেরে স্বপ্নো কি রানি কব আয়েগি তু ছবির প্রথম গান । এই গানের শুটিংয়ের দিন নিয়ে শর্মিলা ঠাকুরের সমস্যা হয় । অগত্যা শুটিং হয় আলাদাভাবে । রাজেশ খান্নার শুটিং হয় দার্জিলিংয়ে । আর শর্মিলা ঠাকুরের শুটিং করা হয় মুম্বইতে । পরে অবশ্য এডিট করে জুড়ে দেওয়া হয় দৃশ্যদুটি ।