বেঙ্গালুরু, 23 অগস্ট: ল্যান্ডার চন্দ্রপৃষ্ঠে নামার পর রোভারকে স্থাপন করবে ৷ সেই রোভার চাঁদের মাটি কেমন তার রাসায়নিক বিশ্লেষণ করবে ৷ সফল চন্দ্রযান-3 মিশনের পরেই ইসরো জানিয়ে দিয়েছে, ল্যান্ডার এবং মহাকাশ সংস্থার মিশন অপারেশন কমপ্লেক্সের (MOX) মধ্যে যোগাযোগ সংযোগ স্থাপন করা হয়েছে । মিশন অপারেশন কমপ্রেক্স টেলিমেট্রি, ট্র্যাকিং এবং কমান্ড নেটওয়ার্কের কাজ করবে । ইসরো চাঁদের পৃষ্ঠে অবতরণের সময় ল্যান্ডারের অনুভূমিক বেগ ক্যামেরা থেকে ছবিও প্রকাশ করেছে ।
‘ইন্ডিয়া ! আই রিচড মাই ডেস্টিনেশন অ্যান্ড ইউ টু ৷’ ইতিহাস গড়ে বার্তা পাঠিয়েছে চন্দ্রযান ৷ প্রথম দেশ হিসেবে চাঁদের দক্ষিণ মেরু জয়, চতুর্থ দেশ হিসেবে সফট ল্যান্ডিংয়ের বিরল কৃতিত্ব ৷ চন্দ্রযানের সাফল্যে উচ্ছ্বসিত দেশ, আনন্দে ভাসছে 140 কোটি দেশবাসী ৷ তারমাঝেই নিজের কাজ শুরু করে দিয়েছে বিক্রম ৷ চাঁদের ছবি পাঠাতে শুরু করে দিয়েছে ল্যান্ডার ৷ টুইটারে ইসরো লিখেছে, "অবতরণের পর ল্যান্ডিং ইমেজার ক্যামেরায় ছবি পাঠিয়েছে বিক্রম । এটি চন্দ্রযান-3 এর অবতরণস্থলের একটি অংশ । ল্যান্ডারের একটি পা এবং তার ছায়াও ছবিতে দৃশ্যমান । চন্দ্রযান-3 চন্দ্রপৃষ্ঠে অপেক্ষাকৃত সমতল অঞ্চল বেছে নিয়েছে ৷"
আগামী 14 দিন কী কাজ করবে ল্যান্ডার ?
ল্যান্ডারের মিশন লাইফ পৃথিবীর হিসেবে 14 দিন, যা চাঁদের একটি দিনের সমান ৷ রোভার-সহ এটির ভর 1 হাজার 749.86 কেজি ৷ এতে চারটি বৈজ্ঞানিক পেলোড (ট্রান্সমিশন ডেটা ইউনিটের বহন ক্ষমতা) রয়েছে ৷ রেডিয়ো অ্যানাটমি অফ মুন বাউন্ড হাইপারসেনসিটিভ আয়নোস্ফিয়ার ও অ্যাটমোস্ফিয়ারের কাছাকাছি চন্দ্রপৃষ্ঠের প্লাজমার ঘনত্ব পরিমাপ করবে ৷ পাশাপাশি সময়ের সঙ্গে এর পরিবর্তনগুলি পরিমাপ করবে ৷