বেঙ্গালুরু, 20 অগস্ট:আর মাত্র চারদিন ৷ তারপরেই ‘রেড লেটার ডে’ ৷প্রোপালশন মডিউল ও ল্যান্ডার আলাদা হওয়ার পর চন্দ্রযান-3 এর কক্ষপথকে ধীরে ধীরে হ্রাস করছেন বিজ্ঞানীরা ৷ একই সঙ্গে এটিকে চন্দ্রের মেরুতে প্রতিস্থাপন করার শেষ পর্যায়ের কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে । তারমধ্যেই ইসরো জানিয়ে দিল, 'ব্যর্থতা-ভিত্তিক নকশা' সমস্ত ঝড়-ঝাপটা সহ্য করতে প্রস্তুত ৷
ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইসরো) চন্দ্রযান-3 মিশনের জন্য নির্বাচিত 'ব্যর্থতা-ভিত্তিক নকশা'-তে আস্থা প্রকাশ করেছে ৷ ইসরো চেয়ারম্যান এস সোমনাথ 15 অগস্ট একটি ভার্চুয়াল ভাষণে জানান, 'বিক্রম' ল্যান্ডারের সম্পূর্ণ নকশা এমনভাবে করা হয়েছে যাতে এটি যাবতীয় সমস্যার মোকাবিলা করতে পারে ৷ চন্দ্রযান-3-এর ব্যর্থতা ভিত্তিক নকশা সফল অবতরণ নিশ্চিত করে । এমনকী যদি সবকিছু ব্যর্থ হয়, যদি সমস্ত সেন্সর কাজ করা বন্ধ করে দেয়, বিক্রম অবতরণ করবে । এভাবে এটি ডিজাইন করা হয়েছে, প্রোপালশন সিস্টেমটিও যথাযথভাবে বার্তা পাঠানোর কাজ করবে ।’’
প্রোপালশন মডিউলের এর ভূমিকা কী ?
প্রোপালশন মডিউলটি চন্দ্রের কক্ষপথ থেকে পৃথিবীর বর্ণালী এবং পোলারিমেট্রিক পরিমাপ অধ্যয়ন করবে । ফলে চাঁদের কাছে ভারতের স্যাটেলাইট সংখ্যা এখন দু’য়ের বদলে তিন ৷ এই মডিউল ল্যান্ডার এবং রোভারকে ইনজেকশন কক্ষপথ থেকে 100 কিলোমিটার চন্দ্র কক্ষপথ পর্যন্ত বহন করবে। স্পেকট্রো-পোলারিমেট্রি অফ হ্যাবিটেট প্ল্যানেটারি আর্থ (শেপ) পেলোডও বহন করছে এটি। ইসরো জানিয়েছে, শেপ-এর লক্ষ্য বিভিন্ন এক্সো-প্ল্যানেটের অনুসন্ধান করা যা বাসযোগ্য (অর্থাৎ, এক্সো প্ল্যানেটে প্রাণের উপস্থিতি খোঁজা)।