দেশের গ্রামগুলিতে যেখানে দেশের মোট জনসংখ্যার ৬৫ শতাংশ মানুষ বাস করেন, সেখানে কোভিডের মারাত্মক প্রভাব চোখে পড়ছে । গত বছর কোভিডের বাড়বাড়ন্ত প্রথমে দেখা গিয়েছিল শহরে । তার প্রায় পাঁচ মাস পর গ্রামে এর প্রকোপ দেখা যায় । মার্চ মাসের তথ্য অনুসারে দেশের প্রায় ৪৯০ টা জেলায় ১০ শতাংশের বেশি মানুষ করোনা আক্রান্ত । এর মধ্যে ৩৬.০৮ শতাংশ গ্রামীণ এলাকায় । এপ্রিল মাসে সংখ্যাটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৫.৫ শতাংশে । আর এই মাসে ইতিমধ্যেই সংখ্যাটি হয়ে গিয়েছে ৪৮.৫ শতাংশ ।
নিউজ রিপোর্টে আভাস দেওয়া হয়েছে, গত মাসে যত কোভিড আক্রান্তের খবর পাওয়া গিয়েছিল, তার ৪৪ শতাংশ গ্রামীণ এলাকার । একজন বোকা মানুষ বাড়িতে আগুন লাগার পর যেমন জলের জন্য কুয়ো খনন করেন, তেমনই দাঁড়িয়েছে রাজ্যগুলিকে কেন্দ্রের পরামর্শ । সর্বশেষ যে নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে, তাতে রাজ্যসরকারগুলিকে বলা হয়েছে, গ্রামের দিকে বেশি করে মনোযোগ দেওয়ার জন্য, নজর দিতে বলা হয়েছে উপজাতি গোষ্ঠীর দিকেও । কোভিড লক্ষণ দেখা গেলে প্রত্যেকের চিকিৎসা ব্যবস্থা করার কথাও বলা হয়েছে ।
গ্রামের পাশাপাশি শহরেও চিকিৎসা ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে গিয়েছে । প্রায় দুই তৃতীয়াংশ চিকিৎসা ব্যবস্থা এবং স্বাস্থ্যসেবা ভেঙে পড়েছে । দূরদৃষ্টি সম্পন্ন হলে সরকার গ্রামীণ এলাকাগুলি রক্ষা করার জন্য সক্রিয় হত, যাতে ভাইরাস ছড়িয়ে না পড়ে সে জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিত । কিন্তু, সে সব ব্যবস্থা থেকে সরে এসে সরকার এখন বলছে, কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসার এবং এএনএমদের দ্রুত অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করার প্রশিক্ষণ দেওয়া উচিত ।
আরও পড়ুন :করোনা আক্রান্ত সস্ত্রীক বুদ্ধবাবু, হাসপাতালে মীরাদেবী
অবাক করার মত বিষয় হল, উত্তরাখণ্ডের লিব্বেহেরির মত গ্রামগুলিতে যে দুর্ঘটনা ঘটেছে, যেখানে এক মাসের মধ্যে ৩০ জনের মৃত্য হয়েছে কোভিডে আক্রান্ত হয়ে, তার কারণ এখনও প্রশাসন বুঝে উঠতে পারেনি । আমাদের গ্রামগুলি এখনও প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিষেবা থেকে বঞ্চিত । তাদের নতুন নির্দেশিকার ফলে গ্রামগুলি কোভিড মুক্ত হবে, কেন্দ্র এটা বিশ্বাস করে, এটা সত্যিই অবাক করে ।