কলকাতা, 12 অগস্ট : খলনায়ক৷ গত শতাব্দীর শেষ দশকে সুভাষ ঘাইয়ের তৈরি করা ব্লকবাস্টার সিনেমা ৷ 1993 সালে মুক্তি পাওয়া ওই সিনেমা সঞ্জয় দত্তের (Sanjay Dutt) ভক্তদের মধ্যে কার্যত গণহিস্টিরিয়া তৈরি করেছিল ৷ তার কারণ অবশ্য সুনীল-পুত্র নিজেই ৷ সিনেমাতেও তাঁকে জেলে যেতে হয়েছিল আর বাস্তবেও ৷
সঞ্জয় 1993 সালের এপ্রিলে টেররিস্ট অ্যান্ড ডিসরাক্টিভ অ্যাক্টিভিটিস (প্রিভেনশন) অ্যাক্ট বা টাডা আইনে (TADA Act) গ্রেফতার হয়েছিলেন ৷ তার মাসখানেক পরই রিলিজ করে খলনায়ক ৷ পর্দা থেকে বাস্তব, সেই সময় সব মিলেমিশে একাকার হয়ে গিয়েছিল ৷ মিডিয়ায় প্রচারও হয়েছিল মারাত্মকভাবে ৷
29 বছর পর সেই দৃশ্যই ফিরে এল বাস্তবের মাটিতে ৷ চূড়ান্ত নাটকীয় ভাবে, টানটান উত্তেজনার মধ্যে গ্রেফতার করা হল দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল কংগ্রেস নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে (Trinamool Congress Leader Anubrata Mondal) ৷ বীরভূমে নাকি যাঁর কথায় কার্যত বাঘে-গরুতে একঘাটে জল খায় ৷ আবার তৃণমূল কংগ্রেসে তিনি নাকি নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ছাড়া কাউকেই গুরুত্ব দেন না ৷
বৃহস্পতিবার বোলপুরে তাঁর বাড়ির ঠাকুরঘর থেকে নিশ্ছিন্দ্র নিরাপত্তার মধ্যে বের করে নিয়ে গেল সিবিআই (CBI) ৷ চারিদিকে তখন ভিড় জমে গিয়েছেন ৷ কারও চোখে-মুখে উদ্বেগ, কেউ বা আনন্দিত ৷ সিবিআই অফিসার সুশান্ত ভট্টাচার্য ওইদিন সকালে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে যে অপারেশনের নেতৃত্ব দিয়েছেন, তা কোনও বলিউডি চিত্রনাট্যের চেয়ে কম নয় ৷
সুভাষ ঘাই পর্দায় দেখিয়েছিলেন যে বল্লু (সঞ্জয় দত্তের চরিত্রের নাম)-র প্রতি মানুষের রাগ-ক্ষোভকে ৷ বৃহস্পতিবার কখনও বীরভূমে, কখনও আসানসোল আদালতের সামনে সেই ছবিই বারবার দেখা গেল ৷ কেউ গরু চোর বলে কটাক্ষ করলেন ৷ কেউ আবার জুতো দেখিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন ৷