চিনের নাম উল্লেখ না করে G20 সম্মেলনে ভারতের তরফে বলা হয়, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলিকে বিশ্বাসযোগ্য হয়ে উঠতে হবে । চিনা অ্যাপের উপর ভারতীয় নিষেধাজ্ঞাকে সমর্থন করলেন অ্যামেরিকার সেক্রেটারি অফ স্টেট মাইক পম্পেও ।
15 জুন গালওয়ানে সংঘর্ষ এবং তার পরবর্তী ঘটনা প্রবাহের মধ্যেই টিকটক, উইচ্যাট সহ 59টি চিনা অ্যাপকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে ভারত । এই ঘটনার দিন 15 বাদে আজ ভারত ও চিনের মন্ত্রীরা G20 ডিজিটাল অর্থনীতির মন্ত্রিসভার বৈঠকে যোগ দেন । বৈঠকে চিনের নাম না করে কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে তথ্যের নিরাপত্তা ও গোপনীয়তাকে নাগরিকদের সার্বভৌম অধিকার হিসেবে চিহ্নিত করেন । তিনি বলেন, “নিরাপত্তার দিক থেকে দেখতে হলে বিভিন্ন দেশের ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মকে বিশ্বাসযোগ্য ও সুরক্ষিত হয়ে উঠতে হবে ।”
সৌদি আরবের সভাপতিত্বে এই বৈঠক হয় । রবিশঙ্কর প্রসাদ বৈঠকে আরও বলেন, “সার্বভৌম দেশগুলির নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা এবং তথ্যের গোপনীয়তার ক্ষেত্রে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলিকে আরও দায়িত্বশীল এবং নির্ভরযোগ্য হয়ে উঠতে হবে ।”
ভারতের সঙ্গে একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে 59টি চিনা অ্যাপের নিষিদ্ধ হওয়ার বিষয়টি উত্থাপন করে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে চিন । তারা দাবি করেছে, ভারতের এই সিদ্ধান্ত WTO নির্দেশাবলীর শর্ত ভেঙেছে । সূত্রের খবর, নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা চিনা অ্যাপ সংস্থাগুলিকে কঠোরভাবে নির্দেশ পালন করার নির্দেশ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ । অন্যথায় ফল ভোগ করতে হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি ।
G20 বৈঠকে তিনি আরও বলেন, “এই বিষয়ে আমরা সবাই একমত হব । তথ্যের অর্থনীতির পাশাপাশি সমান ভাবে চলতে হবে ডিজিটাল অর্থনীতিকেও । আমাদের তথ্যের সার্বভৌমত্ব নিয়েও আমরা নিশ্চয় একমত ।” G20-র প্রতিনিধিদের তিনি বলেন, “খুব শীঘ্রই ভারত একটি শক্তিশালী ব্যক্তিগত তথ্য নিরাপত্তা আইন আনতে চলেছে যা শুধুমাত্র নাগরিকদের তথ্যের গোপনীয়তার বিষয়টি খেয়াল রাখবে তা-ই নয়, গবেষণা ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের স্বার্থে যাবতীয় তথ্য যাতে হাতের কাছেই পাওয়া যায়, তা-ও নিশ্চিত করবে ।” এই প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন, কীভাবে আরোগ্য সেতু অ্যাপ কোরোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সাহায্য করছে ।