আরও আকর্ষণীয় হয়ে উঠল গুজরাত নির্বাচন । মুসলিম জনসংখ্যাবহুল অঞ্চলে মুসলিম প্রার্থীসংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় জমে গেল মোদি-রাজ্যের ভোট । ভোটের ময়দানে নেমেছে অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন (এআইএমআইএম) । আসাদউদ্দীন ওয়াইসির দল স্পষ্টতই দাবি করে যে তারা মুসলিম অনুভূতির প্রতিনিধিত্ব করে (Can AIMIM play spoilsport in Gujarat election 2022) । 14 জন প্রার্থীকে ভোট ময়দানে নামিয়েছে দল, তার মধ্যে 12 জনই মুসলমান ধর্মাবলম্বী । যা রাজ্যের অ-বিজেপি দলগুলির চ্যালেঞ্জ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে (AIMIM AAP Congress making Gujarat elections easy for BJP win) ।
ভারতীয় জনতা পার্টির একটি নির্দিষ্ট ভোট ব্যাংক রয়েছে । রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরাও এক কথায় মেনে নেন, সেই ভোট ব্যাংক প্রভাবিত করা কঠিন । সেখানে 2002-এর ঘটনার (গোধরা দাঙ্গা) পর থেকে মুসলিম ভোট আরও কমেছে বিজেপির ঝুলিতে । বরং বিজেপি'র পরিবর্তে কংগ্রেসকেই নিরাপদ বিকল্প হিসেবে দেখেন মুসলমান সম্প্রদায়ভুক্তরা । সেই ভোট ব্যাংকে এবার থাবা বসাতে চলেছিল অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আপ (AAP) । এবার আরেক বিকল্প পেল তারা । একই সঙ্গে সেই বিকল্প কংগ্রেস, আপ-এর থেকে তাদের কাছে অনেক বেশি গ্রহণযোগ্য । অন্তত সাম্প্রতিক কিছু ট্রেন্ড তাই বলছে ।
বিহারের গোপালগঞ্জ আসনের সদ্য সমাপ্ত উপনির্বাচন এআইএমআইএম কীভাবে বিরোধীদের ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারে তার একটি দুর্দান্ত উদাহরণ । বিজেপি এবং আরজেডির মধ্যে 1,794 ভোটের পার্থক্য ছিল । এআইএমআইএম 12,214 ভোটার পেয়েছে যা আরজেডির ভোট ব্যাংককেই মূলত কেটেছে । ওয়াইসি যদি আবদুস সালামকে প্রার্থী না-করতেন, তাহলে আরজেডি কমপক্ষে 10,000 ভোটের ব্যবধানে গোপালগঞ্জ আসনে জয়লাভ করত ।
জামালপুর-খাদিয়ার মুসলিম জনসংখ্যা ছিপা (ডাইং এবং প্রিন্টিং) এর সঙ্গে জড়িত । এই আসনে ইমরান খেদাওয়ালা এবং সাবির কাবলিওয়ালা একই সম্প্রদায়ের দুই প্রার্থী হিসেবে একে অপরের বিরুদ্ধে লড়ছেন । ইমরান জামালপুর-খাদিয়ার বর্তমান বিধায়ক, যেখানে সাবির ওয়াইসির দলের রাজ্য সভাপতি । ছিপা সম্প্রদায়ের মধ্যে, একটি নির্দিষ্ট প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার জন্য সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার একটি ঐতিহ্য রয়েছে । এবার দুই প্রার্থীর যেকোনও একজনকে বেছে নেওয়া তাঁদের পক্ষে যথেষ্ঠ কঠিন সিদ্ধান্ত হতে চলেছে । যার ফলে লাভ হতে পারে বিজেপি'র ।