আড়াই কোটি টাকার ইয়াবাসহ দুই ব্যাক্তিকে গ্রেপ্তার করল STF - Lockdown
প্রায় 2 কোটি 50 লাখ টাকার ইয়াবা সহ গ্রেপ্তার করা হল দুজনকে। দুজনেই মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা। প্রাথমিকভাবে পুলিশের সন্দেহ বাংলাদেশে পাচারের জন্য আনা হয়েছিল ওই মাদক। গত 11 জানুয়ারি মনিপুরের বাসিন্দা 30 বছরের মহম্মদ আমির খান এবং বিহারের 35 বছরের যোগেশ্বর মাহাত ওরফে অরুণ কুমারের কাছে উদ্ধার হয় 13 কেজি 534 গ্রাম ইয়াবা ট্যাবলেট। যার বাজার দর ছিল 3 কোটি টাকারও বেশি। এর পরেই গ্রেপ্তার করা হয় ওই তিনজনকে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেই এই চক্রটি কথা জানতে পারে পুলিশ।
কলকাতা, 25 জুলাই: মায়ানমার থেকে উত্তর-পূর্ব ভারত এবং সেখান থেকেই নানা পথে মাদক পৌঁছে যাচ্ছে কলকাতা শহরে। আবার কখনও তা পৌঁছে যাচ্ছে সীমান্ত পার হয়ে বাংলাদেশ। এভাবেই সক্রিয় হয়ে উঠেছে আন্তর্জাতিক মাদক চক্র। ফের এমনই এক চক্রের হদিস পেল কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্কফোর্স। প্রায় 2 কোটি 50 লাখ টাকার ইয়াবা সহ গ্রেপ্তার করা হল দুজনকে। দুজনেই মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা। প্রাথমিকভাবে পুলিশের সন্দেহ বাংলাদেশে পাচারের জন্য আনা হয়েছিল ওই মাদক।
STF সূত্রে জানা গেছে, গতকাল গোয়েন্দাদের কাছে খবর আসে বড়সড় অংকের মাদক ঢুকেছে শহরে। সেইমতো নজর রাখা হয়েছিল সর্বত্র। সেই সূত্রে পশ্চিম বন্দর থানা এলাকার নিমক মহল রোডে আটক করা হয় দুই যুবককে। তাদের নাম ফারুক শেখ এবং ইসমাইল শেখ। 29 বছরের ফারুক মুশিদাবাদের সুতি থানা এলাকার ফতেপুরের বাসিন্দা। 40 বছরের ইসমাইল সুতি থানা এলাকার খানপুরের বাসিন্দা। তাদের কাছে উদ্ধার করা হয় 50 হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট। যার বাজার মূল্য আড়াই কোটি টাকা। গত রাত এগারোটা নাগাদ গ্রেপ্তার করা হয় তাদেরকে তাদের।
প্রসঙ্গত,লকডাউনের মাঝে কলকাতায় ইয়াবা চক্র কিছুটা ঝিমিয়ে পড়েছিল। আনলক পর্বে ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে মাদক পাচারকারীরা। লকডাউনের আগে গত 15 ফেব্রুয়ারি কলকাতার গলফ ক্লাবের কাছ থেকে আটক করা হয় 4 জনকে। তাদের নাম মহঃ আকসার খান ওরফে আজগর(27), মহম্মদ আনিস(32), মহঃ আব্দুল মাজিদ(42)। এই তিনজনই মনিপুরের বাসিন্দা। মূলত মায়ানমার থেকে আসা এই মাদক নিয়ে তারা ঢুকেছিল কলকাতায়। ওই মাদক তারা বাংলাদেশে পাচারের উদ্দেশ্যে তুলে দিচ্ছিল মহসিন বিশ্বাসের হাতে। 26 বছরের মহসিন উত্তর 24 পরগনার স্বরূপনগরের গোবরার বাসিন্দা। তাদের কাছে উদ্ধার হয় 50 হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট। তারপরেই তাদেরক গ্রেপ্তার করে পুলিশ। কলকাতায় পর পর উদ্ধার হচ্ছে ইয়াবা। তার কয়েকদিন এমনই বড় অংকের ইয়াবা উদ্ধার হয়েছিল। গত 11 জানুয়ারি মনিপুরের বাসিন্দা 30 বছরের মহম্মদ আমির খান এবং বিহারের 35 বছরের যোগেশ্বর মাহাত ওরফে অরুণ কুমারের কাছে উদ্ধার হয় 13 কেজি 534 গ্রাম ইয়াবা ট্যাবলেট। যার বাজার দর ছিল 3 কোটি টাকারও বেশি। এর পরেই গ্রেপ্তার করা হয় ওই তিনজনকে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেই এই চক্রটি কথা জানতে পারে পুলিশ।