কলকাতা, 6 জুলাই: মত্ত অবস্থায় ধরা পড়লেন গায়ক শিলাজিতের ছেলে ধী মজুমদার । তাঁর কাছ থেকে গাঁজাও উদ্ধার করেছে পুলিশ । আজ বিকেলে জামিন পান তিনি ।
উষশী সেনগুপ্তকে হেনস্থার ঘটনার পর থেকেই রাতের শহরজুড়ে নাকা চেকিং শুরু করে কলকাতা পুলিশ । গতকাল রাতে টালিগঞ্জের সামনেও তা চলছিল । ওই এলাকায় ধী মজুমদারের গাড়িটি থামায় পুলিশ । চলে তল্লাশি । গাড়িতে ধী ছাড়াও ছিলেন আরও দু'জন । অভিযোগ, গাড়ির চালকসহ তিনজনই মত্ত ছিলেন । তারপর গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে গাঁজা উদ্ধার করে পুলিশ । ঘটনাস্থানেই তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয় ।
শিলাজিতের ছেলে একজন সঙ্গীত শিল্পী । শিলাজিতের সঙ্গে স্টেজ শেয়ার করতে দেখা গেছে তাঁকে । এই বিষয়ে গায়ক শিলাজিতের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, "এই ঘটনাটা কেন ঘটেছে সেটা আমার কাছে স্পষ্ট নয় । গতকাল রাতে ঘটনাটা ঘটেছে, আমি ভালো করে বিষয়টি জানি না । আমার আইনের প্রতি ভরসা ছিল । আমি জানি আমার ছেলে নির্দোষ । ও এখানে ঘুরতে এসেছিল । ও জামিন পাওয়ায় আমি খুশি ।"
শুনে নিন শিলাজিতের বক্তব্য এবিষয়ে আইনজীবী অনির্বাণ গুহঠাকুরতার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, "পুলিশের অভিযোগ, ধী ও তাঁর দুই বন্ধুর কাছ থেকে গতকাল নাকা চেকিংয়ের সময় খুব অল্প পরিমাণে গাঁজা উদ্ধার হয়েছে । সেই পরিমাণটা ১৬০ গ্রামের কাছাকাছি । পুলিশ গাড়ি সিজ় করার পর না কি তা উদ্ধার হয় । আজ আমরা আদালতে বলি, অভিযুক্তরা সকলেই নিরপরাধ । তাঁরা প্রত্যেকেই স্টুডেন্ট, হ্যাবিচুয়াল অফেন্ডার নয় । তাঁদের প্রত্যেকেরই উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ রয়েছে । বিচারপতি সেই সমস্ত শুনে তাঁদের জামিন দেন । এবং বলেছেন যেহেতু তাঁরা রিপিট অফেন্ডার নয়, বা সেরকম হিস্ট্রি নেই, প্রত্যেকেই স্টুডেন্ট এবং ব্রাইট ফিউচার রয়েছে, সেইগুলো কনসিডার করে কোর্ট বেল দিয়েছে । বেল দেওয়ার পর আইনজীবী কোর্ট এটাও বলেছে, প্রত্যেক সপ্তাহে তাদের একবার করে IO-র সঙ্গে দেখা করতে হবে ।"
কিন্তু, সেক্ষেত্রেও তৈরি হয়েছে প্রশ্ন । পড়াশোনার সূত্রে ধী মজুমদার বেঙ্গালুরুতে থাকেন । তাঁর পক্ষে কীভাবে প্রত্যেক সপ্তাহে এসে IO-র সঙ্গে দেখা করা সম্ভব? সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের উত্তরে আইনজীবী অনির্বাণ গুহঠাকুরতা বলেন, "বিষয়টা আমরা দেখছি । ধীয়ের পরবর্তী ডেট 19 জুলাই । আমরা কোর্টের কাছে প্লিড করব যে ধী এখানে থাকেন না, বেঙ্গালুরুতে চলে যাবেন । সেটা আমরা মডিফাই করার চেষ্টা করছি ।"