নিউটাউন, 6 জানুয়ারি : দিনটি ছিল 23 ডিসেম্বর ৷ নিউটাউনের ডিডি ব্লকের একটি হোটেলের 201 নম্বর ঘর থেকে উদ্ধার হয় বছর 25-এর এক যুবতির রক্তাক্ত দেহ৷ হোটেলের ওই ঘরের বিছানার উপর পড়েছিল যুবতির নগ্ন দেহ ৷ ধারাল কিছু দিয়ে বারবার আঘাতের দাগ স্পষ্ট ছিল শরীরে ৷ ক্ষত থেকে বের হওয়া রক্তে বিছানার সাদা চাদর তখন রক্তের রাঙা ৷ বিয়ারের ভাঙা বোতলের টুকরো দিয়ে বারবার আঘাত করা হয়েছিল ওই যুবতিকে ৷ সেই রাতেই ঘটনাস্থান যায় নিউটাউনের টেকনোসিটি থানার পুলিশ ৷ দেহ পাঠানো হয় ময়নাতদন্তের জন্য ৷ শুরু হয় তদন্ত ৷ হোটেলের রেজিস্টার থেকে ওই যুবতির পরিচয় জানতে পারে পুলিশ ৷ বছর 25-এর চুমকি ঘোষ ৷ দেহের পাশ থেকেই মিলেছিল একটি চিরকুট ৷ তাতে লেখা ছিল "মারতে চাইনি, বাধ্য হলাম"৷ তার পর থেকেই যুবতির খুনের কারণ জানতে হন্যে হয়ে খুনির খোঁজ চালাচ্ছিল তদন্তকারীরা ৷ অবশেষে আজ অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করল পুলিশ ৷ ঝাড়গ্রামের নয়াগ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় ৷ পুলিশি জেরায় অমিত ঘোষ জানিয়েছে বিয়ের জন্য প্রবল চাপ দিচ্ছিল চুমকি ৷ তাই পরিকল্পনা করেই খুন ৷
অমিত ঘোষ জন্মসূত্রে মেদিনীপুরের বাসিন্দা ৷ অপরদিকে, চুমকির বাপের বাড়ি সাঁতরাগাছি ৷ স্বামীর বাড়ি মেদিনীপুর ৷ পুলিশ সূত্রে খবর, মেদিনীপুরেই চুমকির সঙ্গে পরিচয় হয় অমিতের ৷ তারপরই তাঁদের কথোপোকথন শুরু সোশাল মিডিয়ায় ৷ গড়ে ওঠে বিবাহ বহির্ভূত এক সম্পর্ক ৷ কিন্তু সম্প্রতি বিয়ের জন্য অমিতের উপর চাপ সৃষ্টি করছিল চুমকি ৷ তারপরই চাপ থেকে নিস্তার পেতে তাকে খুনের পরিকল্পনা করে অমিত ৷ অভিযুক্ত যুবক পেশায় হোটেল কর্মী ৷ সেই সূত্রেই নিউটাউনের ওই হোটেলের খোঁজ পায় সে ৷ তারপরই চুমকিকে ভুয়ো বিয়ের প্রস্তাব দেয় অমিত ৷ চুমকিও চলে আসে সাঁতরাগাছি ৷ নিজের বাপের বাড়ি ৷ তারপরই 23 ডিসেম্বর অমিতের সঙ্গে বেলা একটা নাগাদ নিউটাউনের ওই হোটেলে গিয়ে ওঠে চুমকি ৷