ওয়াশিংটন, 20 জুলাই:ভারতের সঙ্গে আমেরিকার এত ভালো সম্পর্ক এর আগে ছিল না ৷ বুধবার এমনই সদর্থক কথা শোনা গেল হোয়াইট হাউজ ও আমেরিকার আইনসভার সদস্যদের গলায় ৷ 13-15 জুলাই ফ্রান্স-আরব আমির শাহী সফর শেষ করে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ তার আগে 21 জুন আন্তর্জাতিক দিবসে নিউ ইয়র্কে গিয়েছিলেন তিনি ৷ সেখানে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেনের সঙ্গে ব্যক্তিগত নৈশভোজও সারেন তিনি ৷ এর ঠিক একমাসের মাথায় আমেরিকা-ভারতের সম্পর্ক নিয়ে এমন মন্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহল ৷
হোয়াইট হাউজ ও আইনসভার সদস্যরা জানিয়েছেন, মার্কিন কংগ্রেসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভাষণ সবাইকে প্রভাবিত করেছে ৷ 21 জুন হোয়াইট হাউজের লনে 8 হাজারেরও বেশি ভারতীয় বংশোদ্ভূত আমেরিকার নাগরিক উপস্থিত ছিলেন ৷
আরও পড়ুন: 'বাস্তিল দিবসে ভারতীয় সেনাবাহিনীকে দেখে দারুণ লাগছে', উচ্ছ্বসিত মোদি
আইনসভার সদস্য, প্রশাসনিক আধিকারিকরা প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতা উপভোগ করেছেন ৷ প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে বৈঠকের পর একটি যৌথ বিবৃতি প্রকাশিত হয় ৷ তাতে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের কথাগুলি তুলে ধরা হয়েছে ৷
সেনেটর চাক স্কুমার বলেন, "আমি মোদিকে পছন্দ করি ৷" একসময় স্কুমারই ভারত এবং প্রধানমন্ত্রীর কড়া সমালোচক ছিলেন ৷ তিনি এবং অন্য আরও সদস্যরা বিকেল নাগাদ (স্থানীয় সময়) বুধবার হোয়াইট হাউজের লনে এসে জড়ো হন ৷ প্রেসিডেন্ট বাইডেন মার্কিন কংগ্রেসের জন্য বার্ষিক পিকনিকের আয়োজন করেছেন ৷ সেখানে জিন পিয়ের বলেন, "গত মাসে প্রধানমন্ত্রীর মার্কিন সফর চূড়ান্ত সফল হয়েছে এবং তা গুরুত্বপূর্ণ ছিল ৷ ভারতের সঙ্গে এমন ভালো সম্পর্ক এর আগে কখনও ছিল না ৷"
আরও পড়ুন: আরবেও ইউপিআই-এর মাধ্যমে আর্থিক লেনদেন, মৌ স্বাক্ষর
আমেরিকা যাওয়ার এক মাসের মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ফ্রান্সে যান ৷ ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমান্যুয়েল ম্যাক্রোঁ তাঁকে বাস্তিল দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানান ৷ প্রধানমন্ত্রী সেখানে প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ এবং ফার্স্ট লেডির সঙ্গে নৈশভোজ সারেন ৷ দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্র-সহ একাধিক বিষয়ে আলোচনা হয় ৷ দাসু এভিয়েশনের কাছ থেকে ফের 26টি রাফাল-এম যুদ্ধ বিমান এবং ইলেকট্রিক-ডিজেল চালিত সাবমেরিন স্করপিন কেনার ক্ষেত্রে ছাড়পত্র দিয়েছে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রক ৷ ফ্রান্সে ডিজিটাল লেনদেনের সুবিধার্থে প্রধানমন্ত্রী সেখানে ইউপিআই চালুর কথাও ঘোষণা করেছেন ৷ শিক্ষাক্ষেত্রে পড়ুয়ারা ভিসার বিশেষ সুবিধে পাবেন ৷ এর মধ্যেই মার্কিন প্রশাসন ভারত ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রশংসায় উচ্ছ্বসিত ৷