নিউইয়র্ক, 17 মার্চ: রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ বৃহস্পতিবার সর্বসম্মতিক্রমে একটি প্রস্তাব গ্রহণ করেছে ৷ সেখানে বলা হয়েছে, ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল কমিউনিটি কীভাবে আফগানিস্তানে তালিবানের তৈরি প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে কাজ করবে (UN Seeks Independent Ideas to Tackling Taliban) ৷ মূলত, শিক্ষা ব্যবস্থা, নারী সুরক্ষা এবং অধিকারের বিরুদ্ধে তালিবানি ফতোয়াকে দমন করা যায়, সে নিয়ে আলোচনা হয়েছে ৷ পাশাপাশি আফগানিস্তানে বাড়তে থাকা সন্ত্রাস এবং সেখানকার ভয়াবহ মানবিক ও আর্থিক পরিস্থিতির বিরুদ্ধে মোকাবিলার প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছে ৷
জাপান এবং সংযুক্ত আরব আমিশাহীর পেশ করা প্রস্তাবে রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসকে আফগানিস্তানের পরিস্থিতি মূল্যায়নের জন্য একটি স্বাধীন প্যানেল গঠন করতে আর্জি জানানো হয় ৷ সেই সঙ্গে রাষ্ট্রসংঘের ভিতরে এবং বাইরের শক্তিগুলিকে নিয়ে একটি ‘সুসঙ্গত পদক্ষেপ’ গ্রহণ করতে বলা হয়েছে ৷ যাতে সেখানকার রাজনৈতিক, মানবিক এবং উন্নয়নমূলক সমস্যাগুলির মোকাবিলা করা যায় ৷ এই প্রস্তাব নিয়ে আগামী 17 নভেম্বরের পরে নিরাপত্তা পরিষদে একটি মূল্যায়ন পেশ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷
সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর রাষ্ট্রদূত লানা নুসিবেহকে পরে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, নিরাপত্তা পরিষদ এবং রাষ্ট্রসংঘের সচিবালয় আফগানিস্তানের ভবিষ্যত নিয়ে লড়াইয়ের জন্য নিজস্ব ধারণাগুলি থেকে পিছিয়ে আসছে কি না ? যার জবাবে তিনি জানান, আফগান পরিস্থিতি খুবই জটিল এবং সদস্যরা আশা করছেন স্বতন্ত্র মূল্যায়নের মাধ্যমে কাউন্সিলের চিন্তাভাবনাগুলি আরও শক্তিশালী হবে ৷ তিনি এও আশাপ্রকাশ করেছেন, আন্তর্জাতিক স্তরে ভাবনাচিন্তার মাধ্যমে কিছু পরিকল্পনা অবশ্যই তৈরি করবে রাষ্ট্রসংঘ ৷
আরও পড়ুন:সংকটাপন্ন দেশে এমন বিস্ফোরণ ঘটানো জঘন্য অপরাধ, নিন্দা রাষ্ট্রসংঘের
আশাপ্রকাশের পাশাপাশি, তিনি আফসোস করেছেন ৷ তিনি মনে করেন, আফগানিস্তানের মানবিক, আর্থিক এবং নারী সুরক্ষা ও অধিকার নিয়ে আন্তর্জাতিক স্তরে কোনও পরিকল্পনা তৈরি করা হয়নি ৷ 2021 সালের অগস্ট মাস থেকে আফগানিস্তান একটি ভয়াবহ পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে রয়েছে ৷ আর এই পরিস্থিতি থেকে আফগানিস্তানকে বের করতে হলে, একটি সংঘবদ্ধ পরিকল্পনা প্রয়োজন বলে জানান ইউএই-র রাষ্ট্রদূত লানা নুসিবেহ ৷ আর এর জন্য বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলিকে নানান পরিকল্পনা এবং প্রস্তাব পেশ করতে হবে রাষ্ট্রসংঘের সামনে ৷