আদানা (তুরস্ক), 7 ফেব্রুয়ারি: মৃত্যুমিছিল, হাহাকার, চাপা কান্না ৷ এক লহমায় বদলে গিয়েছে সবকিছু ৷ বিধ্বংসী ভূমিকম্পে ছারখার তুরস্ক এবং প্রতিবেশী সিরিয়া ৷ সোমবার ভোরে বিধ্বংসী ভূ-কম্পনের পর এখনও পর্যন্ত দু'শোর কাছাকাছি আফটার শক অনুভূত হয়েছে তুরস্ক এবং সিরিয়ায় ৷ খোলা আকাশের নীচে বিনিদ্র রাত কাটানো দুই দেশে মৃতের সংখ্যা 5 হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে (Death toll to rises to more than 5,000 in Turkey and Syria) ৷
এমনিতেই প্রতিকূল আবহাওয়া, তার উপর এহেন প্রাকৃতিক দুর্যোগ ৷ প্রাথমিকভাবে উদ্ধারকাজে নেমে স্বভাবতই হিমশিম খেতে হয় সে দেশের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে ৷ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ৷ কঠিন সময়ে ভারতকেও পাশে পেয়েছে তুরস্ক এবং সিরিয়া ৷ ডগ স্কোয়াড, ত্রাণ সামগ্রী, ওষুধপত্র নিয়ে ইতিমধ্যেই জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর প্রথম টিম পৌঁছে গিয়েছে সেদেশে (India's first consignment of assistance for earthquake-hit Turkey landed in Adana) ৷
সোমবারের বিপর্যয়ে কেবল তুরস্কতেই প্রায় 6 হাজার বাড়ি ধূলিস্যাৎ হয়েছে ৷ মৃত্যুমিছিলের মাঝে বেশ কিছু প্রাণে এখনও স্পন্দন রয়েছে ৷ তুরস্কের আন্তাকিয়া শহরে ধ্বংসস্তূপের পাশে দাঁড়িয়ে এক হতভাগ্য সন্তান বলছিলেন, তিনি তাঁর সত্তরোর্ধ্ব মায়ের আর্তনাদ শুনেও কিছু করতে অপারগ ৷ নুরগুল আতায়ের কথায়, "প্রকাণ্ড সব কংক্রিটের স্তূপ সরানো গেলে আমি মায়ের কাছে পৌঁছতে পারতাম ৷ কিন্তু এখানে না-আছে কোনও উদ্ধারকারী দল না-আছে ধ্বংসস্তূপ সরানোর কোনও সরঞ্জাম ৷"