কলম্বো, 11 মে : সাধারণ মানুষের সম্পত্তি নষ্ট করলে বা কারওর ক্ষতি করলে সঙ্গে সঙ্গে তাকে গুলি করার নির্দেশ দিয়েছিলেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে ৷ মঙ্গলবার সেই নির্দেশের কথা অস্বীকার করলেন দেশের সেনাপ্রধান জেনারেল শাভেন্দ্র সিলভা (Chief of Defence Staff and Commander of Army, Gen Shavendra Silva) ৷ একটি সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, শ্রীলঙ্কার ফ্রন্টলাইন সোশ্যালিস্ট পার্টির নেতা দুমিন্দা নাগামুওয়া এই অভিযোগ করেছিলেন (Sri Lanka General Shavendra Silva rejects shoot order at general public) ৷
জেনারেল সিলভা এই বক্তব্য খারিজ করে আশ্বস্ত করেন সেনাবাহিনীর কোনও সদস্য কোনও অবস্থাতেই এরকম কোনও মর্যাদাহীন পদক্ষেপ করবে না ৷ সোমবার প্রধানমন্ত্রী মহিন্দা রাজাপক্ষে (Mahinda Rajapaksa) ইস্তফা দিতে বাধ্য হন ৷ তারপরও আন্দোলনকারীরা তাঁর পৈর্তৃক বাড়ি জ্বালিয়ে দেন ৷ দেশজুড়ে সরকার-বিরোধী বিক্ষোভ ভয়াবহ আকার নেয় ৷ প্রায় 200 জন মানুষ আহত হয়েছেন ৷
আরও পড়ুন : Chaos in Sri Lanka : জটিল হচ্ছে শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতি, সংসদে জরুরি অধিবেশনের ডাক অধ্যক্ষের
এরপরই রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া (Gotabaya Rajapaksa, President of Sri Lanka) সেনাবাহিনীর তিনটি বিভাগকেই কোনও রকম অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে, অভিযুক্তকে গুলি করার আদেশ দিয়েছেন ৷ সেনাবাহিনীর এক মুখপাত্র সংবাদসংস্থাকে জানিয়েছে, "যে কোনও ব্যক্তি জনসাধারণের সম্পত্তি লুট করা অথবা কারও ক্ষতির চেষ্টা করলে, সেনার তিনটি বাহিনীকেই তাকে খোলাখুলি গুলি চালনার নির্দেশ দিয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক ৷"
অন্যদিকে, সঙ্কটজনক পরিস্থিতিতে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মহিন্দা রাজাপক্ষে সপরিবার নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ত্রিণকোমালি নৌ-ঘাঁটিতে আশ্রয় নিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে ৷ এমনকি কিছু সংবাদমাধ্যম রটিয়েছে, মহিন্দা রাজাপক্ষে পরিবার নিয়ে ভারতে পালিয়ে এসেছেন ৷ তবে শ্রীলঙ্কায় ভারতের হাই কমিশন (Indian High Commission in Sri Lanka) এই দাবি নস্যাৎ করে একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, "নির্দিষ্ট কয়েকজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং তাঁদের পরিবার ভারতে পালিয়ে এসেছেন ৷ সম্প্রতি সংবাদমাধ্যম এবং সোশ্যাল মাধ্যমে এমন গুজব ছড়িয়েছে এবং তা নজরে এসেছে হাই কমিশনের ৷ এই খবর পুরোপুরি ভুয়ো এবং মিথ্যে প্রচার ৷ এর কোনও প্রমাণ নেই ৷ হাই কমিশন এমন দাবি খারিজ করছে ৷"
আরও পড়ুন : Protests at Sri Lankan Naval Base : রাজাপক্ষের বিরুদ্ধে শ্রীলঙ্কার নৌঘাঁটিতেও বিক্ষোভ