ইসলামাবাদ, 20 অগস্ট: বোমা বিস্ফোরণে কমপক্ষে 11 জন শ্রমিকের মৃত্যু ৷ আহত হয়েছেন দু'জন ৷ শনিবার গভীর রাতে এআরওয়াই নিউজ সূত্রে এই খবর জানা গিয়েছে। স্থানীয় পুলিশের মুখপাত্র জানিয়েছেন, পাকিস্তানের উত্তর ওয়াজিরিস্তানে গুলমির কোট এলাকায় একটি ভ্যানে বোমা বিস্ফোরণটি ঘটে। তার জেরে 11 জন শ্রমিকের প্রাণ গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, কয়েক সপ্তাহ আগেই পাকিস্তানে বড়সড় আত্মঘাতী বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছিল ৷ সেই ঘটনায় 23 শিশু-সহ কমপক্ষে 63 জনের মৃত্যু হয়েছিল ৷ ঘটনায় আহত হয়েছিলেন 200 জনেরও বেশি মানুষ। ওই বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করেছিল জঙ্গি সংগঠন আইএস ৷ পাকিস্তানের সীমান্তবর্তী জেলা বাজাউরে একটি নির্বাচনী সমাবেশে বোমা হামলাটি হয়েছিল। কট্টরপন্থী রাজনীতিবিদ ফজলুর রহমানের নেতৃত্বে সরকারি জোটের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার জমিয়ত উলেমা-ই-ইসলাম (JUI-F) পার্টির সম্মেলন চলছিল ৷ সেসময় প্রায় 400 জন সদস্য সেখানে উপস্থিত ছিলেন ৷
আফগানিস্তানের সীমান্তের কাছে খার শহরে জেইউই-এফ সদস্য ও সমর্থকরা জড়ো হলে আত্মঘাতী বিস্ফোরণটি ঘটনা ঘটেছিল। সম্মেলনটি দুপুর 2টোয় শুরু হয় এবং বিকেল 4টা 10 মিনিটে বিস্ফোরণটি ঘটে । আত্মঘাতী বিস্ফোরণকারী সমাবেশের সামনের সারিতেই বসেছিল বলে জানা গিয়েছিল ৷ সেই ঘটনার পর সোমবার আবারও পাকিস্তানে বোমা বিস্ফোরণ ঘটল ৷ তাতে প্রাণ হারান 11 শ্রমিক ৷
আরও পড়ুন:পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখাওয়ায় আত্মঘাতী হামলায় মৃত 44, দায়ী আইসিস !
গত নভেম্বরে পাকিস্তান সরকার এবং নিষিদ্ধ সংগঠন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (টিটিপি) এর মধ্যে যুদ্ধবিরতি শেষ হয়েছে ৷ এর পর থেকেই সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। বিশেষ করে খাইবার পাখতুনখাওয়া এবং বেলুচিস্তানে এই প্রবণতা অনেকটাই বেড়েছে। জুলাই মাসে প্রকাশিত একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, অন্য সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের সঙ্গে পাকিস্তানে আত্মঘাতী হামলার ঘটনাও পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। 2023 সালের প্রথম সাত মাসে পাকিস্তান 18টি আত্মঘাতী হামলার ঘটনা ঘটেছে ৷ এতে 200 জনের প্রাণ যায়। আহত হন 450 জনেরও বেশি নাগরিক ৷ পাকিস্তানের সংবাদপত্র ডনের একটি প্রতিবেদনে এই তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।