তেহরান, 4 জানুয়ারি: স্মরণসভায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে প্রাণ হারালেন কমপক্ষে 103 জন ৷ আর আহত হয়েছেন কমপক্ষে 188 জন ৷ বুধবার ইরানের জেনারেল কাসিম সোলেমানির চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকীতে তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে বহু মানুষ জড়ো হয়েছিলেন রাজধানী তেহরান থেকে 820 কিমি দক্ষিণ-পূর্বের কারমান শহরে ৷ সেখানে বেশ কয়েক মিনিটের ব্যবধানে পরপর দু'টি শক্তিশালী বোমা বিস্ফোরণ হয় ৷ কেঁপে ওঠে শহর ৷
আর তাতেই উপস্থিত বহু সাধারণ মানুষের দেহ ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় ৷ আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশের মতে, ইজরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধ শুধুমাত্র এই এলাকায় সীমিত নেই ৷ তার রেশ ছড়িয়েছে পুরো মধ্যপ্রাচ্যে৷ এই বিস্ফোরণও হামাস ও ইজরায়েল সংঘর্ষের ফল ৷ তবে এখনও পর্যন্ত কোনও দল এই বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করেনি ৷
মনে করা হচ্ছে, 1979 সালের ইসলামিক রেভোলিউশনের পর এমন নৃশংস ঘটনা আর ঘটেনি ৷ জেনারেল কাসিম সোলেমানি দেশের রেভোলিউশনারি গার্ডসের অন্তর্গত কাডস বাহিনীর প্রধান ছিলেন ৷ 2020 সালের জানুয়ারিতে মার্কিন ড্রোন হামলায় তাঁর মৃত্যু হয় ৷ ইরানে সোলেমানি অত্যন্ত জনপ্রিয় নেতা ছিলেন ৷ তিনি দেশের আঞ্চলিক সামরিক কার্যকলাপগুলিও নিয়ন্ত্রণ করলেন ৷ তাঁর শেষকৃত্যে হাজার হাজার মানুষ মিছিল করে ৷ তার ফলে পদপিষ্ট হয়ে কমপক্ষে 56 জনের মৃত্যু হয় এবং 200 জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছিলেন ৷
এদিনের বিস্ফোরণটি হয় তাঁর সমাধিস্থলের কাছেই ৷ তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে আমজনতা লাইন দিয়ে দাঁড়িয়েছিল ৷ দেশের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী আহমদ ভাহিদি দেশের সরকারি মিডিয়া চ্যানেলকে জানান, প্রথম বোমা বিস্ফোরণটি হয় বেলা 3টে নাগাদ ৷ আর পরেরটা প্রায় 20 মিনিট পরে ৷ এই দ্বিতীয় বিস্ফোরণের ফলেই সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে এবং অনেকেই জখম হয়েছে ৷ ইরানের সরকারি মিডিয়া অনুযায়ী, বেশ কিছু জঙ্গি সংগঠন, দেশ থেকে নির্বাসিত সংগঠন এবং আরও অনেক শত্রু রয়েছে ইরানের ৷ তাদেরই কেউ এমন এই বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে ৷ মঙ্গলবারই লেবাননের বেইরুটে হামাসের এক প্রধানের মৃত্যু হয়েছে ৷ সন্দেহ করা হচ্ছে, ইজরায়েল হামলা চালিয়েছে ৷
আরও পড়ুন:
- হিজাব পরায় আপত্তি, মার্কিন সাংবাদিকের সাক্ষাৎকার বাতিল ইরানের প্রেসিডেন্টের
- আমেরিকার মৃত্যু হোক, সোলেইমানির শেষযাত্রায় প্রতিশোধের স্লোগান
- ইরানের হিজাববিরোধী আন্দোলনের মঞ্চে পরিণত হল চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান