নয়াদিল্লি, 3 জুলাই: আন্তর্জাতিক সম্পর্কের সুতোয় কৌশলী পদক্ষেপ রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের । রাশিয়ার অন্দরে চলা টালমাটাল পরিস্থিতির মধ্যেই সাংহাই কো অপরেশেন অর্গানাইজেশন (এসসিও) ও জি-20 বৈঠকে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পুতিন ৷ এবছর এই দুই সম্মেলনেরই সভাপতিত্বের দায়িত্বে ভারত। পুতিনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার 'ওয়াগনার বাহিনী'র সাম্প্রতিক অভ্যুত্থানের চেষ্টা এই মুহূর্তে রাশিয়ায় বড় চিন্তার কারণ। যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রনের থেকেও ওয়াগনার বাহিনীর এই রুদ্ররূপ পুতিনকে চিন্তায় ফেলেছে বলেই মনে করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে এসসিও ও জি-20 বৈঠকে পুতিনের অংশগ্রহণ তাঁর সুচিন্তিত পদক্ষেপ বলেই মনে করা হচ্ছে । এ বিষয়ে ব্রুকিং ইনস্টিটিউশনের বিশেষজ্ঞ তনভি মদন জানাচ্ছেন, এসসিও বৈঠকে যোগ দিয়ে পুতিন প্রমাণ করতে চাইছেন আমেরিকার চোখ রাঙানিকে উপেক্ষা করেই ভারত-চীন সহ বিভিন্ন এশিয় দেশের সমর্থন পেতে সফল রাশিয়া।
সেক্ষেত্রে অগ্নিপরীক্ষায় ভারত। মদন জানাচ্ছেন, কয়েকদিন আগেই মার্কিন সফরে গিয়ে মোদি দেশের পররাষ্ট্র নীতিকে আরও জোরদার করেছেন। মোদি-বাইডেন বন্ধুত্ব আন্তর্জাতিক খাতে ভারতের অবস্থানকে অনেক বেশি ইতিবাচক করে তুলেছে। তাই আসন্ন এসসিও বৈঠকে ভারত কতটা রাশিয়ার উপস্থিতিকে গুরুত্ব দেবে সেই নিয়ে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে । দিল্লি সূত্রের খবর, এসসিও বৈঠকে ভারত জোর দেবে সন্ত্রাস দমন, আফগানিস্তান প্রসঙ্গ থেকে রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের জ্বালানি লেনদেন সহ বিভিন্ন বিষয়। সেখানে ইউক্রেনে শান্তি স্থাপন আলোচনার বিষয়বস্তু হলেও, রাশিয়ার অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি নিয়ে আগ বাড়িয়ে কিছু বলতে যাবে না ভারত ৷