ওয়াশিংটন, 26 মার্চ: আবারও বিদেশের মাটিতে খালিস্থানি সমর্থকদের তাণ্ডব। এবারের ঘটনাস্থল ওয়াশিংটন। ভারতীয় দূতাবাসের বাইরে স্থানীয় সময় শনিবার খালিস্থানের সমর্থকরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন। বিক্ষোভের খবর করতে ঘটনাস্থলে যান সাংবাদিক ললিত ঝা। তাঁকে লক্ষ্য করে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয় বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয় তাঁর দাবি তাঁকে মারধরও করেছেন খালিস্থানের সমর্থকরা (Indian Journalist Attacked by khalistani Supporters)।
সাংবাদিকের দাবি, এক খালিস্তানি সমর্থক তাঁকে লাঠি দিয়ে বাঁ কানে আঘাত করেছেন। তাঁর আগে ওই সাংবাদিককে লক্ষ্য করে বেশ কয়েকটি অশ্রাব্য ভাষাও ব্যবহার করা হয়। একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি থেকে শুরু করে ভারত সরকার সম্পর্কেও বেশ কিছু আপত্তিকর মন্তব্য করেন এক সমর্থক। এই সংক্রান্ত একটি ভিডিয়ো নিজের টুইটারে পোস্ট করেছেন ওই সাংবাদিক । পাশাপাশি তাঁকে রক্ষা করার জন্য মার্কিন প্রশাসনকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন তিনি।
টুইটারে তিনি লেখেন, "আপনাদের ধন্যবাদ। আপনারা ছিলেন বলে সুরক্ষিত থেকে নিজের কাজ করতে পারলাম । নইলে এখন হাসপাতাল থেকে টুইট করতে হত!" সংবাদসংস্থা এএনআইকে তিনি জানান, খালিস্তানের সমর্থকরা প্রকাশ্যেই তাণ্ডব চালিয়েছে। পুলিশের সামনেই ওরা দূতাবাসে হামলা চালানোর কথা বলছিল। ভারতের রাষ্ট্রদূত তরণজিৎ সিং সাধুকেও হুমকি দিয়েছে ওরা। একটি সূত্র থেকে জানা গিয়েছ, এদিন মেরিল্যান্ড থেকে শুরু করে ভার্জিনিয়া থেকে বেশ কয়েকজন খালিস্তানি সমর্থক দূতাবাসের সামনে ভিড় জমান। সেখান থেকে নিজেদের দাবি সমর্থনে বেশ কিছু স্লোগানও দেওয়া হয়।
এর আগে লন্ডনে ভারতীয় হাই কমিশনের বাইরেও তাণ্ডব চালিয়েছে খালিস্তানি সমর্থকরা। জাতীয় পতাকা পর্যন্ত নামিয়ে দেওয়া হয়। হাই কমিশনের এক কর্মী খালিস্তানের সমর্থকদের হাত থেকে তেরঙা ছিনিয়ে নেন । পরে সেটিকে আবার কমিশনের দফতরের বাইরে নির্দিষ্ট জায়গায় টাঙিয়ে দেওয়া হয়। হামলার ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া দেয় দিল্লি। বলা হয়, এই ধরনের ঘটনা কখনই মেনে নেওয়া যায় না। তাছাড়া প্রশাসন কেন দ্রুত ব্যবস্থা নেয়নি সেই প্রশ্নও তোলা হয় ।
আরও পড়ুন:লন্ডনের খালিস্তানি হামলায় এফআইআর করল দিল্লি পুলিশ