টোকিয়ো, 2 জানুয়ারি: আবারও ভয়াবহ দুর্ঘটনার সাক্ষী জাপান ৷ টোকিয়োর হানেদা বিমানবন্দরের রানওয়ে অবতরণের পর একটি বিমানে আগুন লেগে যায় ৷ তাতে যাত্রী এবং বিমানের কর্মী মিলিয়ে মোট 379 জন ছিলেন। এর মধ্যে যাত্রী ছিলেন 367 জন। স্থানীয় সময় বিকেল 5টা 47 মিনিট নাগাদ বিমানবন্দরে অবতরণের পর উপকূলরক্ষী বাহিনীর একটি বিমানের সঙ্গে এই যাত্রীবাহী বিমানের ধাক্কা লাগে ৷ তার জেরেই আগুন লেগে যায় বলে প্রাথমিক অনুমান ৷ যাত্রীরা সকলে নিরাপদে থাকলেও উপকূলরক্ষী বাহিনীর বিমানে থাকা পর্যন্ত 5 সদস্যকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে জানা যায় নিখোঁজ পাঁচ জনেরই মৃত্যু হয়েছে।
স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম থেকে পাওয়া ভিডিয়ো থেকে দেখা যাচ্ছে বিমান থেকে নির্গত ধোঁয়ায় গোটা এলাকা ভরে গিয়েছে ৷ বহু দূর থেকে আগুনের লেলিহান শিখা দেখা যাচ্ছে৷ ঘটনাটি ঘটনার একটু বাদে যে ফুটেজ প্রকাশ্যে এসেছে তাতে দেখা গিয়েছে গোটা বিমানটাই আগুনের গর্ভে চলে গিয়েছে ৷ যাত্রীদের নিরাপদে বের করে এনে বিমানের আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে প্রশাসন ৷
সংবাদসংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, জেএএল 516 বিমানটি সিনচিস্তো বিমানবন্দর থেকে জাপানের হানেদা বিমানবন্দরে এসে পৌঁছয় ৷ অবতরণের সময় অন্য একটি বিমানের সঙ্গে সেটির ধাক্কা লাগে ৷ প্রাথমিকভাবে মনে করা হয়েছিল ওই বিমানটি জাপানের উপকূলরক্ষী বাহিনীর ৷ বাহিনীর তরফে একটি বিবৃতিতে জানিয়ে দেওয়া হয়, তাদের কোনও বিমান এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে ৷ পরে জানা যায় বিমানটি তাদেরই ৷ শুধু তাই নয়, ওই বিমানে থাকা 5 সদস্যর খোঁজ মিলছে না ৷ আরও পরে আসে মৃত্যু সংবাদ।
যাত্রী সংখ্যা থেকেই বোঝা যায় হানেদা জাপানের অন্যতম ব্যস্ত বিমানবন্দর ৷ বহু মানুষ এই বিমানবন্দর ব্যবহার করে নানা প্রান্তে যাতায়াত করে ৷ নতুন বছরের ছুটি থাকায় যাত্রী সংখ্যা আরও বেড়েছে ৷ তার জেরে আগুন লাগার ঘটনা নিয়ে প্রশাসনে যথেষ্ট চিন্তিত হয়ে পড়ে ৷ শেষমেশ যাত্রীদের বিমান থেকে বের করে আনা সম্ভব হয় ৷ সদ্য ভয়াবহ ভূমিকম্প দেখছে 'সূর্যদয়ের দেশ' ৷ এবার বিমানবন্দরে অবতরণের পর যাত্রীবাহী বিমানে ভয়াবহ আগুন লাগল ৷
আরও পডুন:
- ভূমিকম্প বিধ্বস্ত জাপান থেকে দেশে ফিরলেন জুনিয়র এনটিআর
- জাপানের ভূমিকম্পে প্রাণ গেল কমপক্ষে 30 জনের, ধীরে ধীরে কমছে সুনামির ভয়