ইসলামাবাদ, 30 এপ্রিল: মৃত মেয়ের দেহকে ধর্ষণের হাত থেকে রক্ষা করতে কবরে লোহার গ্রিল লাগিয়ে, সেখানে তালা মেরে দিয়েছেন বাবা-মা ৷ এমনই ঘটনা সামনে এসেছে পাকিস্তানে ৷ বিকৃত যৌনতার হাত থেকে মেয়ের দেহকে বাঁচাতে এমনটা করেছেন বাবা-মা ৷ সংবাদ সংস্থা এএনআই ডেইলি টাইমসের রিপোর্টকে উল্লেখ করে এই খবরটি করেছে ৷ এমনকি সোশাল মিডিয়াতেও লোহার গ্রিল লাগানো সেই কবরের ছবি ছড়িয়ে পড়েছে ৷ যা সকলকে নাড়িয়ে দিয়েছে ৷
ডেইলি টাইমসের সেই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, পাকিস্তান বিশ্বে এমন একটি দেশ ৷ যেখানে প্রতি দু’ঘণ্টায় একজন মহিলাকে ধর্ষণের শিকার হতে হয় ৷ আর সেই দেশের অধিকাংশ মানুষ পারিবারিক মূল্যবোধ নিয়ে দিনরাত চর্চা করে ৷ মৃতের মেয়ের কবরে বাবা-মা’র গ্রিল বসিয়ে তালা দেওয়ার দৃশ্য, সমাজের সেই সব শ্রেণির গালে সপাটে চড় মারার সমান ৷ তবে, একটি মহিলার কবরে তালা লাগানোর মতো ঘটনা পুরো মনুষ্য সমাজের মাথা লজ্জায় হেঁট করে দেওয়ার জন্য যথেষ্ঠ ৷
উল্লেখ্য, ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের দম্পতির আশঙ্কা, মৃত্যুর পরেও তাঁদের মেয়ে নিরাপদ নন ৷ কবর খুঁড়ে তাঁর দেহ বের করেও ধর্ষণ করা হতে পারে ৷ আর সেই আশঙ্কা থেকেই মেয়ের কবরকে রক্ষা করতে, সেখানে লোহার গ্রিল বসিয়ে তাতে তালা লাগিয়েছেন বাবা-মা ৷ এই দৃশ্য সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই নিন্দার ঝড় উঠেছে ৷ সেদেশে মেয়ে এবং মহিলাদের অবস্থা কতটা শোচনীয় তার উদাহরণ বলে অনেকে উল্লেখ করেছেন ৷
আরও পড়ুন:মাঝরাতে অটোর মধ্যে মহিলাকে গণধর্ষণ 3 চালকের !
এ নিয়ে পাকিস্তানের প্রাক্তন মুসলিম সমাজসেবী হারিস সুলতানের একটি বইয়ের কথা উল্লেখ করতেই হয় ৷ যে বইটির নাম তিনি দিয়েছিলেন, ‘দ্য কার্স অফ গড, হোয়াই আই লেফট ইসলাম’ ৷ সেখানে তিনি নিজের মুসলিম ধর্ম ত্যাগের কারণ জানিয়েছিলেন ৷ এ দিন একটি টুইটও করেন তিনি ৷ সেখানে তিনি বলেন, ‘‘কঠোর ইসলামিক নীতির কারণেই এই ধরণের জঘন্য ঘটনা ঘটছে ৷ আর দিনে দিনে হতাশা এবং যৌন লালসায় ভরা একটা সমাজ তৈরি করছে পাকিস্তান ৷ আর তাই এখন মানুষ তাঁদের মৃত মেয়েকে ধর্ষণ থেকে বাঁচাতে কবরে তালা মারছেন ৷ যেদিন সমাজ ধর্ষণের সঙ্গে বোরখাকে জুড়ে দেয়, তখন সেটা কবরেও পিছু ছাড়ে না ৷’’