পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / international

Pakistan Crisis: 1999 এর পর ডলারের সাপেক্ষে সর্বোচ্চ পতন পাকিস্তানি মুদ্রার - মার্কিন ডলার

পাকিস্তানের (Pakistan) ঝামেলা যেন শেষ হওয়ার নামই নেই । বরং দিন দিন বেড়েই চলেছে । পাকিস্তানের অর্থনীতি সংকটের মুখে । ডলারের সাপেক্ষে পাকিস্তানি মুদ্রার (Pakistan Rupee) দর পতন এই সংকটকে আরও গভীর করছে । অবমূল্যায়নের পর পাকিস্তানি টাকা দুই দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছেছে ।

Pakistan Crisis
Pakistan Crisis

By

Published : Jan 27, 2023, 3:42 PM IST

করাচি (পাকিস্তান), 27 জানুয়ারি: আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (International Monetary Fund) বা আইএমএফ-এর সঙ্গে চুক্তি পুনর্নবীকরণে ব্যর্থ হয়েছে পাকিস্তান সরকার (Pakistan Government) । এর ফলে পাকিস্তানের অর্থনীতি (Pakistan Economy) বিপদের সম্মুখীন হতে চলেছে । ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিনান্সিয়াল টাইমসের তরফে এই সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে । পাক সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের প্রতিবেদন অনুসারে, রোলিং ব্ল্যাকআউট এবং বৈদেশিক মুদ্রার তীব্র ঘাটতি রয়েছে ৷ সেই কারণে পাকিস্তানে ব্যবসার কাজ চালিয়ে যাওয়া কঠিন হয়ে উঠেছে ৷ পরিস্থিতি এমনই যে বিদেশ থেকে আমদানি করা সামগ্রী আপাতত বন্দরেই জমা হচ্ছে ৷ কারণ, সেগুলি কেনার জন্য ক্রেতারা ডলার দিতে পারছেন না ৷

এয়ারলাইনস এবং বিদেশি কোম্পানির অ্যাসোসিয়েশনগুলির দাবি, পাকিস্তানে এখন মূলধন নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছে সরকার ৷ সেই কারণে তারা তাদের ডলার ফেরত পাচ্ছেন না ৷ কর্মকর্তারা বলেছেন যে পোশাক তৈরির মতো কারখানাগুলি বিদ্যুৎ বাঁচানোর জন্য হয় কাজ বন্ধ করে দিচ্ছে, না হলে সময় কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে ৷ এর ফলে সমস্যা বাড়ছে ৷ ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের দাবি, সোমবার পাকিস্তানে 12 ঘণ্টার বেশি সময় ধরে বিদ্যুৎ সংযোগ কোথাও ছিল না ৷

এদিকে পাকিস্তান স্টক এক্সচেঞ্জ (Pakistan Stock Exchange) বা পিএসএক্স (PSX)-এর বেঞ্চমার্ক সূচক এক হাজার পয়েন্টেরও বেশি বেড়েছে ৷ এর কারণ খোলা ও আন্তঃব্যাংক বাজারে পাকিস্তানের টাকার অবমূল্যায়ন ঘটেছে ৷ এর ফলেই লাভ বেড়েছে শেয়ার বাজারে ৷ স্থানীয় গণমাধ্যমে এই তথ্য জানানো হয়েছে ৷ জিও নিউজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, পাকিস্তানি টাকার দামের পতনের ফলে বাজারে একটা ইতিবাচক ধারণা তৈরি হয়েছে ৷ উন্নয়নের বিষয়ে বলতে গিয়ে এমনই মন্তব্য করেছেন তাহির আব্বাস ৷ তিনি আরিফ হাবিব লিমিটেডের গবেষণা প্রধান ৷ আব্বাস বলেন, “বাজারের নেপথ্যের চালিকাশক্তি হল বাজারভিত্তিক টাকার বিনিময় হার । এটি বিনিয়োগকারীদের ঘিরে থাকা অনিশ্চয়তা দূর করতে সহায়তা করেছে ।’’

এই বিশ্লেষকের দাবি, সরকারের পদক্ষেপ বাজার পুনরুদ্ধারে সহায়তা করছে । আইএমএফের (IMF) সঙ্গে চুক্তি পুনর্নবীকরণ না হওয়ায় যাঁরা অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছেন, সেই বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়ছে ৷ আব্বাস বলেন, ‘‘আগামী আট থেকে দশ দিনের মধ্যে মিনি বাজেট পেশ হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে । যার মধ্যে গ্যাস ও বিদ্যুতের শুল্ক বৃদ্ধিও দেখা যেতে পারে ও আরও কর আরোপ করা যেতে পারে ।’’

দ্য নিউজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, পাকিস্তানে বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডার দ্রুত হ্রাস পেয়েছে । এর সঙ্গে আইএমএফ দুর্বল হয়ে পড়েছে । এর কারণে ডলারের নিরিখে পাকিস্তানি টাকার পতন গত দুই দশকের মধ্যে সবচেয়ে বেশি হয়েছে ৷ তাই সরকারকে বাধ্য হয়ে মুদ্রার উপর তার দখল হালকা করতে হয়েছে । আইএমএফের শর্ত অনুযায়ী, টাকা ও ডলারের বিনিময় হারের উপর সরকারের নিয়ন্ত্রণ শেষ করার সিদ্ধান্তের পর পাকিস্তানি মুদ্রা মার্কিন ডলারের (USD) সাপেক্ষে 9.61 শতাংশ বা 24.5 টাকা হ্রাস পেয়েছে ৷ ফলে তা রেকর্ড সর্বনিম্ন 255.43 টাকায় পৌঁছেছে । এর আগে পাকিস্তানি মুদ্রার 9 শতাংশেরও বেশি পতন 1999 সালের 30 অক্টোবর হয়েছিল ৷ সেই সময় পতনের হার ছিল 9.4 শতাংশ ৷

আরও পড়ুন:বোমা-গোলাবারুদে সম্পদ নষ্ট না করে আলোচনা চায় পাকিস্তান, বার্তা শরিফের

ABOUT THE AUTHOR

...view details