করাচি (পাকিস্তান), 27 জানুয়ারি: আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (International Monetary Fund) বা আইএমএফ-এর সঙ্গে চুক্তি পুনর্নবীকরণে ব্যর্থ হয়েছে পাকিস্তান সরকার (Pakistan Government) । এর ফলে পাকিস্তানের অর্থনীতি (Pakistan Economy) বিপদের সম্মুখীন হতে চলেছে । ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিনান্সিয়াল টাইমসের তরফে এই সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে । পাক সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের প্রতিবেদন অনুসারে, রোলিং ব্ল্যাকআউট এবং বৈদেশিক মুদ্রার তীব্র ঘাটতি রয়েছে ৷ সেই কারণে পাকিস্তানে ব্যবসার কাজ চালিয়ে যাওয়া কঠিন হয়ে উঠেছে ৷ পরিস্থিতি এমনই যে বিদেশ থেকে আমদানি করা সামগ্রী আপাতত বন্দরেই জমা হচ্ছে ৷ কারণ, সেগুলি কেনার জন্য ক্রেতারা ডলার দিতে পারছেন না ৷
এয়ারলাইনস এবং বিদেশি কোম্পানির অ্যাসোসিয়েশনগুলির দাবি, পাকিস্তানে এখন মূলধন নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছে সরকার ৷ সেই কারণে তারা তাদের ডলার ফেরত পাচ্ছেন না ৷ কর্মকর্তারা বলেছেন যে পোশাক তৈরির মতো কারখানাগুলি বিদ্যুৎ বাঁচানোর জন্য হয় কাজ বন্ধ করে দিচ্ছে, না হলে সময় কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে ৷ এর ফলে সমস্যা বাড়ছে ৷ ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের দাবি, সোমবার পাকিস্তানে 12 ঘণ্টার বেশি সময় ধরে বিদ্যুৎ সংযোগ কোথাও ছিল না ৷
এদিকে পাকিস্তান স্টক এক্সচেঞ্জ (Pakistan Stock Exchange) বা পিএসএক্স (PSX)-এর বেঞ্চমার্ক সূচক এক হাজার পয়েন্টেরও বেশি বেড়েছে ৷ এর কারণ খোলা ও আন্তঃব্যাংক বাজারে পাকিস্তানের টাকার অবমূল্যায়ন ঘটেছে ৷ এর ফলেই লাভ বেড়েছে শেয়ার বাজারে ৷ স্থানীয় গণমাধ্যমে এই তথ্য জানানো হয়েছে ৷ জিও নিউজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, পাকিস্তানি টাকার দামের পতনের ফলে বাজারে একটা ইতিবাচক ধারণা তৈরি হয়েছে ৷ উন্নয়নের বিষয়ে বলতে গিয়ে এমনই মন্তব্য করেছেন তাহির আব্বাস ৷ তিনি আরিফ হাবিব লিমিটেডের গবেষণা প্রধান ৷ আব্বাস বলেন, “বাজারের নেপথ্যের চালিকাশক্তি হল বাজারভিত্তিক টাকার বিনিময় হার । এটি বিনিয়োগকারীদের ঘিরে থাকা অনিশ্চয়তা দূর করতে সহায়তা করেছে ।’’