রোম, 16 সেপ্টেম্বর: জার্মান-অধিকৃত পোল্যান্ডে প্রতিদিন 6 হাজার ইহুদি এবং পোল্যান্ডের নাগরিকদের গ্যাস চেম্বারে অত্যাচার করা হচ্ছে ৷ এই তথ্য দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ের পোপ দ্বাদশ পিয়াসের কাছে এসেছিল ৷ জার্মান জেসুইটের কাছ থেকে এই নিয়ে বিস্তারিত তথ্য পেয়েছিলেন তিনি ৷ হোলি সি’র যুক্তিকে দূরে ঠেলে এই নাৎসি অত্যাচার সেই সময় চলে ৷ কিন্তু এই তথ্য প্রমাণ করার মতো কোনও নথি ছিল না ৷ নতুন আবিষ্কৃত কিছু চিঠিপত্র থেকে এই তথ্য জানা গিয়েছে ৷
ভ্যাটিকান আর্কাইভস থেকে এই নথি ইতালির একটি দৈনিক কোরি ডেল্লা সেরা-তে প্রকাশিত হয়েছে ৷ ফলে পিয়াসের উত্তরাধিকার এবং তাঁর বিটিফিকেশন স্থগিত করে দেওয়া নিয়ে বিতর্কে এই প্রতিবেদন নতুন করে ইন্ধন জোগালো ৷ পিয়াসের সম্পর্কে ঐতিহাসিকরা দীর্ঘদিন ধরে দ্বিধাবিভক্ত ৷ তাঁর সমর্থকরা দাবি করেন যে তিনি ইহুদিদের জীবন বাঁচাতে শান্তিতে কূটনীতি ব্যবহার করেছিলেন ৷ অন্যদিকে তাঁর সমালোচকরা বলেন যে হলোকাস্ট নিয়ে তিনি একেবারেই নীরব ছিলেন ৷
ইতালির ওই সংবাদপত্রে যে চিঠিটি প্রকাশিত হয়েছে, সেটি 1942 সালের 14 ডিসেম্বরের ৷ ওই চিঠিটি এক জার্মান জেসুইট প্রিস্ট পিয়াসের সচিবকে লিখেছিলেন ৷ ওই চিঠিটি থাকছে জিওভান্নি কোকোর আগামী বইতে ৷ যে বইটি পিয়াসের পন্টিফিকেশন নিয়ে নতুন খোলা ফাইলের উপর লিখেছেন ভ্যাটিকানের অ্যাপোস্টলিক আর্কাইভের গবেষক এবং আর্কিভিস্ট জিওভান্নি কোকো ৷
কোকো ইতালির ওই সংবাদপত্রকে জানিয়েছেন, চিঠিটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ৷ কারণ, এখানে এমন কিছু তথ্য রয়েছে, যেখানে নাৎসিদের ইহুদিদের নির্মূল করা সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য রয়েছে ৷ এই তথ্য জার্মানির একটি চার্চের কাছ থেকে এসেছিল ভ্যাটিক্যান সিটিতে ৷ যারা হিটলারের বিরুদ্দে লড়াইয়ে সামিল ছিল ৷
চিঠিটি জার্মান ভাষায় লেখা ৷ সেখানে পিয়াসের সচিবকে উদ্দেশ্য করে পোল্যান্ডে ইহুদি ও সেখানকার নাগরিকদের উপর হওয়া অত্যাচার সম্পর্কে বিস্তারিত লেখা হয় ৷ প্রতিদিন 6 হাজার মানুষকে হত্যা করে বেলজেক ডেথ ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলেও লেখা হয় ওই চিঠিতে ৷