দুবাই, 22 সেপ্টেম্বর: দুবাইয়ের শিল্প সম্মেলনের আগে শুক্রবার লুলু গ্রুপের সঙ্গে বৈঠক করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর স্পেন সফর চলাকালীন জানা গিয়েছিল বহুজাতিক সংস্থা লুলু বাংলায় বিনিয়োগে আগ্রহী। তাই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী দুবাইয়ে গেলে তাঁর সঙ্গে লুলু গ্রুপের প্রতিনিধিরা বৈঠক করতে পারেন। সেইমতো এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করলেন লুলু গ্রুপের প্রতিনিধিরা।
জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে লুলু গ্রুপের এই বৈঠক অত্যন্ত ফলপ্রসু হয়েছে। এদিন লুলু গ্রুপের তরফ থেকে সংস্থার এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর আশরাফ আলি এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বলে খবর। একই সঙ্গে, এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী, শিল্পসচিব বন্দনা যাদব-সহ মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে যাওয়া সরকারি আধিকারিকেরা। জানা গিয়েছে, এদিনের বৈঠকে বাংলায় এই বহুজাতিক গোষ্ঠীর বিনিয়োগের সম্ভাবনা নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। সূত্রের খবর, সেই আলোচনায় ঠিক হয়েছে নিউ টাউনে লুলু গ্রুপের তরফ থেকে একটি বিশ্বমানের শপিং মল তৈরি করা হবে।
একই সঙ্গে, এদিনের বৈঠকে নির্দিষ্টভাবে ঠিক হয়েছে লুলু গ্রুপ অনান্য দেশেও তাদের মলে বিশ্ব বাংলা ব্রান্ডের সামগ্রীর খুচরো বিক্রির একটি পৃথক কাউন্টার রাখবে। এছাড়া এদিনের বৈঠকে ঠিক হয়েছে, লুলু গ্রুপের সমস্ত বিপনীতে খাদ্য সামগ্রী তথা সবজি ও ফলের সরবরাহের জন্য এবার বাংলাকেও ব্যবহার করবে এই গ্রুপ । বাংলার মাটিতে তারা খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র গড়ে তুলবে বলেও খবর মিলেছে। একই সঙ্গে, এই রাজ্যে মাছ প্রক্রিয়াকরণ, পোল্ট্রি এবং দুগ্ধ প্রক্রিয়াকরণের বিনিয়োগেও আগ্রহ প্রকাশ করেছে তারা। শুধু তাই নয়, এই ক্ষেত্রগুলিতে রাজ্যে শিল্প স্থাপন এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের জন্য দক্ষতা উন্নয়নে যৌথভাবে সাহায্য করবে লুলু গ্রুপ।
আরও পড়ুন: ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’তে অভিযোগ, 24 ঘণ্টার মধ্যে সমাধান! নির্দেশ গোপালিকার
প্রসঙ্গত, উল্লেখ্য এই মুহূর্তে লুলু গ্রুপের গোটা বিশ্বে 234 টি খুচরো বিপণী রয়েছে যেগুলি ভারতের পাশাপাশি সংযুক্ত আরব আমিরশাহী, সৌদি আরব, বাহারাইন, কুয়েত, ওমান, মিশর, মালয়েশিয়া এবং ইন্দোনেশিয়াতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। বাস্তবিক পক্ষে লুলু গ্রুপের মত একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা বাংলার খাদ্যপ্রক্রিয়াকরণ শিল্পে সংযুক্ত হলে তা রাজ্যের জন্য অবশ্যই বড় সুখবর হতে চলেছে। এদিন শিল্প সম্মেলনের আগেই সেই সুখবর রাজ্যবাসীর সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছে রাজ্য সরকার।