হায়দরাবাদ, 13 অক্টোবর:ইজরায়েলের সঙ্গে হামাসের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ শুক্রবার সপ্তম দিনে পড়েছে ৷ যুদ্ধ শুরুর পর গত 6 দিনে গাজা ভূ-খণ্ডে প্রায় 6 হাজার বোমা ফেলেছে ইজরায়েলের বায়ু সেনা ৷ গত শনিবার সকালে ইজরায়েলে একসঙ্গে প্রায় 5 হাজার রকেট হামলা চালায় গাজার জঙ্গি সংগঠন হামাস ৷ এরপর থেকেই গাজাকে হামাস মুক্ত করতে গত কয়েকদিন ধরে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইজরায়েল ৷ স্থলপথের পাশাপাশি আকাশপথেও হামলা চালাচ্ছে ইজরায়েলি সেনা ৷ এবার সরকারিভাবে সেদেশের বায়ু সেনার তরফে জানানো হল, গত 6 দিনে গাজায় প্রায় 6 হাজার বোমা নিক্ষেপ করা হয়েছে ৷
এর আগে হামাসকে আইএস জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে তুলনা করে, তাদের সমূলে ধ্বংস করার কথা ঘোষণা করেছিলেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ৷ এই যুদ্ধের পর পশ্চিম এশিয়ার মানচিত্র বদলে যাবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন নেতানিয়াহু ৷ সেই নির্দেশ পালনেই গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে আগ্রাসী ভূমিকা নিয়েছে ইজরায়েলি সেনা ৷ গাজায় ব্যাপক সংখ্যায় ইজরায়েলের এই বোমা ফেলার ঘটনাকে 2009 সালের শ্রীলঙ্কার জাফনায় সেদেশের সেনা বাহিনীর অভিযান ও 2000 সালে রাশিয়ার সঙ্গে চেচেন জঙ্গিদের সংঘর্ষের সময়ের সঙ্গে তুলনা করেছেন লন্ডনের কিং কলেজের জার্মান ও ইউরোপিয় স্টাডি বিষয়ের অধ্যাপক অ্যালেক্সান্ডার ক্লার্কসন ৷
2009 সালে এলটিটিই (লিবারেশন টাইগার্স অফ তামিল ইলাম) জঙ্গিদের দমন করতে তাদের ঘাটি জাফনা ও মুল্লাইথিভুতে হামলা চালিয়েছিল শ্রীলঙ্কার সেনা বাহিনী ৷ সেসময় অভিযোগ উঠেছিল জনবসতি এলাকায় একের পর এক ভয়ঙ্কর ক্লাস্টার বোমা ফেলেছিল শ্রীলঙ্কার বায়ুসেনা ৷ রাষ্ট্রসংঘের তথ্য অনুযায়ী, ওই হামলায় প্রায় 40 থেকে 70 হাজার মানুষ প্রাণ হারান ৷ অন্যান্য কিছু সংস্থার মতে, সেবার হতাহতের সংখ্যা ছিল প্রায় 1 লক্ষ 40 হাজার ৷ এই প্রসঙ্গে অধ্যাপক অ্যালেক্সান্ডার ক্লার্কসন সোশাল মিডিয়া এক্স-এ লিখেছেন, ইজরায়েলের এই ব্যাপক হামলা চেচেন জঙ্গিদের বিরুদ্ধে গ্রোজনিতে রাশিয়ার হামলা ও জাফনা-মুল্লাইথিভুতে শ্রীলঙ্কার হামলার সঙ্গে তুলনীয় ৷ গত 20 বছরে এই মাত্রায় কোনও পালটা প্রত্যাঘাত আমেরিকা ও ইউরোপের দেশগুলিও করেনি ৷
আরও পড়ুন: 24 ঘণ্টার মধ্যে গাজা ছাড়ার নির্দেশ ইজরায়েলের, উপেক্ষা করতে বলল হামাস