জেরুজালেম, 28 মার্চ: বিচার বিভাগের সংস্কারের বিরুদ্ধে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন, বিক্ষোভে সামিল হয়েছিল দেশের সাধারণ মানুষ ৷ সেই আন্দোলনে যোগ দিয়েছিল বিমানবন্দরের মতো জরুরি পরিষেবের সঙ্গে যুক্ত শ্রমিকরাও। শেষ পর্যন্ত তীব্র আন্দোলনের জেরে সিদ্ধান্ত থেকে পিছু হটতে বাধ্য় হল বেঞ্জামিন সরকার ৷ অন্য়দিকে, ধর্মঘটের সমন্বয়কারী ইসরায়েল হিস্টাড্রুট ট্রেড ইউনিয়নের তরফে জানানো হয়েছে, কিছু সরকারি মন্ত্রক, দেশের তিনটি বৃহত্তম শহর, ব্যাংক, বন্দর এবং অন্যান্য সংস্থাগুলি সোমবার ধর্মঘটে যোগ দিয়েছিল ৷ তবে হাসপাতাল এবং দমকলের মতো জরুরি পরিষেবাগুলি শনিবার থেকে স্বাভাবিকভাবে কাজ করবে। (Israel PM Netanyahu Delays Judicial Reform amid general strike)
বিচার ব্যবস্থার সংস্কারের প্রতিবাদে সোমবার শ্রমিকরা ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে ৷ ওই দিন থেকে কোনও বিমান ওঠা-নামা করেনি দেশে ৷ এই লাগাতার বিক্ষোভের জের দেশের অর্থনীতির উদর পড়বে বলে ইতিমধ্য়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে ওয়াকিবহল মহল।
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগে বিচার ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আনেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। নতুন এই সংস্কারে ইজরায়েলের সুপ্রিম কোর্টের ক্ষমতা হ্রাস করা হয়েছে। সরকারের এই সিদ্ধান্তের জেরে গত 19 মার্চ থেকে দেশজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভের ডাক দেওয়া হয়। হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমেছে। বিচার ব্যবস্থায় হস্তক্ষেপের ফলে দেশের প্রধানমন্ত্রীর বাড়ির সামনে গিয়েও বিক্ষোভ দেখায় আমজনতা। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশকে টিয়ার গ্য়াসের পাশাপাশি জলকামানও ব্যবহার করতে হয়। শেষ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সহ দেশব্যাপী ব্য়াপক ধর্মঘট ও আন্দোলনের জেরে দেশের বিচার ব্য়বস্থাকে সংশোধন করার বিতর্কিত পরিকল্পনা থেকে সরে আসেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ৷