পেশোয়ার, 31 জুলাই: কট্টরপন্থী ইসলামি দলের রাজনৈতিক সম্মেলনে আত্মঘাতী হামলার ঘটনায় হাত রয়েছে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আইসিস-এর ৷ ঘটনার প্রাথমিক তদন্তের পর সোমবার এ কথা জানাল পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের পুলিশ ৷ ওই বিস্ফোরণে কমপক্ষে 44 জনের মৃত্যু হয়েছে এবং আহত হয়েছেন শতাধিক মানুষ ৷
আফগান সীমান্তে বিস্ফোরণ: কট্টরপন্থী রাজনৈতিক ইসলামের সঙ্গে যোগসূত্রের জন্য পরিচিত রক্ষণশীল জমিয়ত উলামা ইসলাম-ফজল (জেইউআই-এফ) পার্টির 400 জনেরও বেশি সদস্য রবিবার আফগানিস্তান সীমান্তে খার শহরে একটি ছাউনির নীচে একটি বৈঠকের জন্য জড়ো হয়েছিলেন ৷ সেই সময় সেখানে আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটে ৷
পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, "আমরা এখনও বাজাউর বিস্ফোরণের বিষয়ে তদন্ত করছি এবং তথ্য সংগ্রহ করছি । প্রাথমিক তদন্তে দেখা যাচ্ছে যে, নিষিদ্ধ সংগঠন দয়েশ (আইএসআইএস) এই বিস্ফোরণে জড়িত ৷"
ব্যবহৃত 10 কেজি বিস্ফোরক: পুলিশ জানিয়েছে যে, তারা আত্মঘাতী বোমা হামলাকারীর বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করছে ৷ আর বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল ঘটনাস্থল থেকে প্রমাণ সংগ্রহ করছে । জেলা পুলিশ কর্মকর্তা নাজির খান বলেন, সন্দেহভাজন তিনজনকে আটক করা হয়েছে । প্রদেশের পুলিশ প্রধান আখতার হায়াত খান বলেন, আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী 10 কেজি বিস্ফোরক বিস্ফোরণে ব্যবহার করেছে । সম্মেলনের সামনের সারিতে বসা লোকেদের মধ্যেই আত্মঘাতী বিস্ফোরণকারীও উপস্থিত ছিলেন বলে জানিয়েছেন হায়াত খান ৷
মঞ্চের সামনেই বসেছিলেন হামলাকারী: স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, হামলাকারী সম্মেলনের মঞ্চের কাছে বিস্ফোরণ ঘটায় । পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, জেইউআই-এফ জেলা আমীর মাওলানা আবদুল রশিদ মঞ্চে পৌঁছনোর সঙ্গে সঙ্গেই বিস্ফোরণ ঘটে । নিহতদের মধ্যে রয়েছেন জেইউআই-এফ তহসিল খার মাওলানা জিয়াউল্লাহ জান, নাভাগাই তহসিল সাধারণ সম্পাদক মাওলানা হামিদুল্লাহ, জেলা তথ্য সম্পাদক মুজাহিদ খান এবং কয়েক ডজন দলীয় কর্মী ।
আরও পড়ুন:ইমরানের গ্রেফতারির পর লাগাতার হিংসা, পাকিস্তানের ভবিষ্যৎ কী ?