জেরুজালেম, 2 নভেম্বর: ইজরায়েলের হয়ে লড়াই করতে গিয়ে প্রাণ গেল ভারতীয় বংশোদ্ভূত যুবকের। গাজার যুদ্ধে নিহত হালেল সলমনের বাড়ি দক্ষিণ ইজরায়েলের ডিমনা শহরে। বছর কুড়ির এই যুবকের মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করেছেন শহরের মেয়র বেনি বিটন। ফেসবুকে তিনি লেখেন, "ডিমনা শহরের এক যুবক গাজার যুদ্ধে প্রাণ হারিয়েছেন। এই গভীর শোকের সময় আমরা হালেল সলমনের পরিবারের পাশে আছি।" শোকজ্ঞাপন করেছেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুও।
মেয়র আরও লেখেন, "হালেলের পিতা রোহিত, মা মরদেচাই এবং তিন বোন ইয়াসমিন হিলা, ভেরেড এবং সেকেডের প্রতি আমার সমবেদনা রইল। হালেল জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত ইজরায়েলের প্রতি তাঁর অবদান রেখে গিয়েছেন। পরিবারের প্রতি তাঁর শ্রদ্ধাও ছিল মনে রাখার মতো। একাধিক মানবিক গুণে সমৃদ্ধ হালেল আত্মত্যাগের প্রতীক। ডিমানা শহরের প্রতিটি নাগরিক চিরকাল তাঁর অবদান মনে রাখবেন।"
ডিমনা শহরের খুব কাছেই আছে ইজরয়েলের পরমাণু গবেষণা কেন্দ্র। তবে এর বাইরে এই শহরের আরও একটি মনে রাখার মতো পরিচয় আছে। ভারতীয় বংশোদ্ভূত ইহুদিদের অনেকেরই বাস এই শহরে। তাঁদের অনেকের সঙ্গেই মেলামেশা ছিল হালেলের। তরুণ সৈনিকের মৃত্যুতে মন খারাপ ডিমনার। এমন বেশ কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলেছে সংবাদসংস্থা পিটিআই। তাঁরা সকলেই হালেল কেমন ছিলেন সে কথা জানিয়েছেন।
হালেল-সহ গাজার যুদ্ধে ইজরায়েলের কমপক্ষে 11 সেনা জওয়ানের প্রাণ গিয়েছে এখনও পর্যন্ত। তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেন, "আমরা এক কঠিন যুদ্ধের মধ্যে রয়েছি। এই যুদ্ধ সহজে শেষ হবে না। আমাদের বেশ কিছু মনে রাখার মতো সাফল্য আছে। পাশাপাশি কিছু অপূরণীয় ক্ষতিও হয়েছে আমাদের। সেনা বাহিনীর জন্য ইজরায়েলের প্রতিটি নাগরিক গর্বিত। আমরা সকলেই নিহত জওয়ানদের পরিবারের পাশে আছি। দেশের এই বীর সন্তানদের আত্মত্যাগ বিফলে যাবে না। সকলকে বলে দিতে চাই যতক্ষণ না জিতছি ততক্ষণ এই লড়াই চলবে।"
আরও পড়ুন:হামাসের হাতে বন্দিদের খুঁজে বের করতে ইজরায়েলে সক্রিয় মার্কিন বাহিনী, জানাল পেন্টাগন