তেল আভিভ, 13 অক্টোবর: হামাস আচমকা আক্রমণ চালিয়েছে ইজরায়েলে ৷ এই হামলা এতটাই আকস্মিক যে তা টের পর্যন্ত পায়নি গুপ্তচর সংস্থা মোসাদ ৷ এর জবাবে শনিবার রাতেই পালটা প্রত্যাঘাতের নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ৷ তাও শনির ভোরে এই হামলার মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হয়েছে ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী৷ দেশবাসীর কাছে এ কথা স্বীকার করলেন চিফ অফ জেনারেল স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল হারজি হালেভি ৷
বৃহস্পতিবার দেশের উদ্দেশ্যে ভাষণ দেওয়া সময় তিনি বলেন, "জঙ্গিদের সঙ্গে লড়ছে আইডিএফ ৷ ওরা যা করেছে, তা অবিশ্বাস্য ৷ রাষ্ট্র এবং নাগরিকদের সুরক্ষার দায়িত্ব আইডিএফ-এর উপর ৷ তবে গত শনিবার ভোরে গাজা স্ট্রিপের যে জায়গায় হামলা চালানো হয়েছে আমরা তার মোকাবিলা করতে পারিনি ৷" 7 অক্টোবর সাবাথের ভোরে ইজরায়েল হামলার ফলে 1 হাজার 300 জনের মৃত্যু হয়েছে ৷ জখম হয়েছেন কমপক্ষে 3 হাজার 300 নাগরিক ৷
তিনি আরও বলেন, "ইয়াহইয়া সিনওয়ার গাজা স্ট্রিপে শাসন করছেন ৷ তিনিই এই ভয়ঙ্কর হামলার ছক কষেছেন ৷ তবে আমরা হামলা চালিয়ে ধ্বংস করে দেব ওদের ৷ সবকিছু ধ্বংস হবে ৷" আইডিএফ প্রধান হালেভি আশ্বস্ত করেন, একটা সময় আসবে, যখন সবাই জানতে পারবে, হামাস কী করে এই আক্রমণ করেছে ৷
ইজরায়েল বনাম হামাসের এই যুদ্ধে হামাস জঙ্গি গোষ্ঠী বহু মানুষকে অপহরণ করেছে ৷ এদের মধ্যে একদিকে ইজরায়েলি নাগরিক রয়েছেন ৷ এমনকী বিদেশিদেরও হাতছাড়া করেনি হামাস ৷ এদিন লেফটেন্যান্ট জেনারেল হারজি হালেভি জানান, ইজরায়েলি এবং বিদেশি মিলিয়ে প্রায় 200 জনকে অপহরণ করেছে হামাস ৷ তবে সরকার তাঁদের ফিরিয়ে আনতে সবদিক দিয়ে চেষ্টা করবে ৷ এই প্রসঙ্গে হারজি হালেভির হুঙ্কার, "গাজা আর আজকের মতো থাকবে না ৷ ইজরায়েল-গাজার সীমান্তের কাছে ফ্লোটিলা 13 এলিট ইউনিটকে মোতায়েন করা হয়েছে ৷ 60 জন হামাস জঙ্গিকে নিকেশ করেছে ইজরায়েল ৷"
আরও পড়ুন: যুদ্ধ-বিধ্বস্ত ইজরায়েল থেকে কেরলে ফিরলেন তীর্থযাত্রীরা, ধন্যবাদ ভারতীয় দূতাবাসকে