কিভ, (ইউক্রেন), 21 ফেব্রুয়ারি: যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের কেউ জানতেন না ৷ দুনিয়ার তাবড় গোয়েন্দা সংস্থার কাছেও খবর ছিল কি ? জান যায়নি ৷ কিন্তু পুতিন জানতেন ৷ মস্কোকে নোটিস পাঠিয়ে মার্কিন প্রশাসনের উচ্চাধিকারিকরা প্রেসিডেন্টের কিভ-সফর নিয়ে জানিয়েছিল ক্রেমলিনকে ৷ রবিবার স্থানীয় সময় ভোররাত 3.30 মিনিট নাগাদ হোয়াইট হাউজ থেকে বের হন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ৷ কোনও যুদ্ধবিমান নয়, মার্কিন বায়ু সেনার সি-32 (Air Force C-32) সাধারণ বিমান রওনা দিল ৷ ছোটখাটো ঘরোয়া বিমানবন্দরে ওঠা-নামা করে এই আধুনিক বোয়িং 757 (US President sneaked to warzone outside US military aegis) ৷
মাঝে বিমানটি জার্মানিতে নেমে জ্বালানি ভরে ৷ তারপর প্রেসিডেন্টের সি-32 বিমানটি সেখানেই রেখে জো বাইডেন আরেকটি বিমানে পোল্যান্ডের ঝেসুভ বিমানবন্দরে (Rzeszow, Poland) নামেন ৷ বিলিয়ন ডলারের পশ্চিমি দামি দামি অস্ত্র, ভিআইপিরা এই পথ দিয়ে তো ইউক্রেনে যান ৷ সেখান থেকে একটি ট্রেন ধরলেন প্রেসিডেন্ট ৷ রাতভর কম-বেশি 10 ঘণ্টার সফর ৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিমানে ওঠার 20 ঘণ্টা কেটে গিয়েছে ৷ সোমবার সকাল 8টা নাগাদ কিভে পৌঁছলেন বিশ্বের শক্তিশালী দেশের রাষ্ট্রনায়ককে ৷ তাঁকে অভ্যর্থনা জানাতে হাজির রাষ্ট্রদূত ব্রিগেট ব্রিঙ্ক (Ambassador Bridget Brink) ৷ সংক্ষিপ্ত কনভয়টিকে মারিনিক্সি প্যালেসের (Mariinsky Palace) দিকে যেতে দেখা গেল ৷
প্রায় এক বছর ধরে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে বিপর্যস্ত দেশের রাস্তাঘাটে যানবাহন চলাচল এখন নিয়ন্ত্রিত ৷ তার মধ্যে আবার কোনও কারণ না দর্শিয়ে জেলেনস্কি সরকার বেশ কয়েকটি রাস্তায় যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেছে ৷ তখনও দুনিয়ার কাকপক্ষীরা টের পায়নি ৷ কোনও প্রেসিডেন্টের লিমুজিন নয়, একটা সাদা রঙের এসইউভি আর তার পিছনে কনভয় ইউক্রেনের রাজধানীর বন্ধ রাস্তাগুলি দিয়ে চলাচল করছে ৷ এবার হাওয়ায় ভাসল দেশে পা রেখেছেন স্বয়ং আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ৷ কিভে নেমে পরবর্তী 5 ঘণ্টা ধরে বিভিন্ন শহরে থামল তাঁর গাড়ি ৷ আসলে তাঁর পোল্যান্ডে যাওয়ার কথা ছিল ৷ হোয়াইট হাউজের তরফে দাবি, তাঁর এই ধূমকেতু সফরের কথা জানা ছিল না ৷