দেইর আল-বালাহ, 30 অক্টোবর: ইজরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে সবচেয়ে বড় সাহায্য পৌঁছাল গাজায় ৷ সেখানে পৌঁছেছে প্রায় তিন ডজন ট্রাক, যাতে ত্রাণ রয়েছে সেখানকার মানুষের জন্য ৷ এটাই এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বড় ত্রাণ, যা গাজায় পৌঁছল ৷ কিন্তু মানবিক কর্মীরা বলেছেন যে এই সাহায্যও কম পড়ে গিয়েছে ৷ কারণ, হাজার হাজার মানুষ খাবার ও প্রাথমিক স্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী নিতে ভিড় জমিয়েছেন ৷
রবিবার 33টি ট্রাক জল, খাবার এবং ওষুধ মিশর থেকে রাফাহ ক্রসিং দিয়ে গাজায় প্রবেশ করেছে বলে সেখানকার মুখপাত্র ওয়ায়েল আবু ওমর অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে জানিয়েছেন । এর আগে রাফাহ ক্রসিং পরিদর্শন করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের প্রধান প্রসিকিউটর করিম খান ৷ তিনি গাজায় প্রবেশ করতে না পারলেও সেখানকার মানুষের দুর্ভোগের কথা উল্লেখ করেন ৷ তাঁর আদালত 2014 সাল থেকে ইজরায়েল ও প্যালেস্টাইন কর্তৃপক্ষের মধ্যে বিবাদের বিষয়টি দেখছে ৷ তিনি বর্তমান পরিস্থিতিকে সবচেয়ে দুঃখজনক বলে ব্যাখ্যা করেছেন ৷
করিম খান ইজরায়েলকে আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ৷ কিন্তু ইজরায়েলের হামলাকে যুদ্ধাপরাধ বলেননি ৷ তবে হামাসের 7 অক্টোবরের হামলাকে আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের গুরুতর লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেছেন । তাঁর বক্তব্য, যারা বন্দুক, ক্ষেপণাস্ত্র বা রকেট ছুঁড়েছিল, দায় তাদেরই নিতে হবে ৷
আরও পড়ুন:গাজায় যুদ্ধের দ্বিতীয় পর্যায়ের সূচনা করেছে ইজরায়েল, বার্তা নেতানিয়াহুর
এদিকে গাজার স্বাস্থ্যমন্ত্রক রবিবার জানিয়েছে যে ফিলিস্তিনিদের মধ্যে মৃতের সংখ্যা আট হাজার পেরিয়েছে ৷ যাদের বেশিরভাগই মহিলা এবং নাবালক৷ ইজরায়েলি ট্যাংক ও পদাতিক বাহিনী গাজায় আক্রমণ শুরু করেছে ৷ এই অভিযানকে হামাসের বিরুদ্ধে হামলার দ্বিতীয় পর্যায় হিসেবে ব্যাখ্যা করেছেন ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ৷ গত 7 অক্টোবর আচমকা হামাস দক্ষিণ ইজরায়েলে হামলা চালানো হয় ৷ সেই হামলায় 1400 জন মারা গিয়েছেন বলে ইজরায়েলের দাবি ৷ তার পর থেকেই হামাসের বিরুদ্ধে পালটা হামলা চালাচ্ছে ইজরায়েল ৷
ইজরায়েলি সামরিক বাহিনী রবিবার জানিয়েছে যে তারা হামাসের কমান্ড সেন্টার ও অ্যান্টি-ট্যাংক মিসাইল উৎক্ষেপণ কেন্দ্রে গত 24 ঘণ্টায় হামলা চালিয়েছে ৷ এছাড়া এই সময়ের মধ্য়ে তারা 450-র বেশি জঙ্গির উপরও হামলা চালিয়েছে ৷ গাজা শহর বিশাল ধোঁয়ায় ঢেকে রয়েছে ৷ অন্যদিকে শুক্রবার গভীর রাতে ইজরায়েলি বোমাবর্ষণের পর সেখানকার 2.3 মিলিয়ন বাসিন্দার সঙ্গে ফোন বা ইন্টারনেট মারফত যোগাযোগ প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছিল ৷ রবিবার সেই যোগাযোগ আবার তৈরি করা সম্ভব হয়েছে ৷