করাচি, 18 ডিসেম্বর: দাউদকে বিষ খাওয়ানো হয়েছে বলে খবর। যদিও এই খবর নিশ্চিত করা হয়নি কোনও তরফে। ভারতের এই মোস্ট ওয়ান্টেড ডন আপাতত করাচির হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৷ এমনই বিস্ফোরক খবর এসে পৌঁছেছে বিভিন্ন মাধ্যম থেকে ৷ আরও জানা গিয়েছে, 1993 সালের মুম্বই হামলা থেকে শুরু করে ভারতের বুকে ঘটে যাওয়া একাধিক নাশকতার মাস্টারমাইন্ড দাউদের কাছে হাসপাতালের চিকিৎসক এবং পরিবারের সদস্য ছাড়া কাউকেই যেতে দেওয়া হচ্ছে না ৷
ডনের শারীরিক পরিস্থিতি যথেষ্ট আশঙ্কাজনক বলেই মনে করা হচ্ছে ৷ একটি সূত্রের দাবি, বেশ কয়েকদিন ধরে হাসপাতালে ভরতি আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন দাউদ ৷ আরও খবর, করাচির ওই হাসপাতালে কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে রাখা হয়েছে দাউদকে। হাসপাতালের যে অংশে তিনি আছেন, সেখানে আর কোনও রোগীকে রাখা হয়নি। কোনও অজ্ঞাত কারণবশত পাকিস্তানে বন্ধ রয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। পুরো দেশে যেন এক আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।
উল্লেখ্য, মুম্বইয়ের পুলিশ কনস্টেবলের পুত্র দাউদ আশির দশকে ভারত থেকে পালিয়ে দুবাই যায়। সেখান থেকে পাকিস্তানের সঙ্গে তার যোগাযোগ হয়। শোনা যায়, 1993 সালের 12 মার্চ মুম্বইয়ে যে ধারাবাহিকভাবে বোমা বিস্ফোরণ হয়েছিল, তার মাস্টারমাইন্ড ছিল দাউদই। এই হামলায় 250 জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। আহত হয়েছিলেন হাজারেরও বেশি মানুষ। পাকিস্তান থেকে এই হামলা পরিচালনা করেছিল সে। এমনিতে মাস্টারমাইন্ড দাউদ কোথায় আছে, তা নিয়ে কোনওদিনই কম জল্পনা হয় না। একাধিক রিপোর্ট অনুযায়ী, আপাতত পাকিস্তানের করাচিতে থাকে দাউদ। এবার সেখানেই তাকে হাসপাতালে ভরতি করানো হয়েছে বলে খবর।
মুম্বইয়ের রাস্তায় ট্যাক্সি চালক হিসেবে জীবন শুরু করা দাউদের অপরাধের দুনিয়ার মুকুটহীন সম্রাট হয়ে ওঠার গল্প যে কোনও বলিউডি থ্রিলারকে হাসতে হাসতে দশ গোল দিতে পারে। একইভাবে তাকে নিয়ে গড়ে ওঠা নানা গল্পও হেলায় হারাতে পারে সিনেমার পরাবাস্তবতাকে। নিজেকে আত্মগোপন করে রাখার ব্যাপারে অনায়াসে সমস্ত অপরাধীর শিক্ষাগুরু হয়ে উঠতে পারে দাউদ। এবার তাকেই বিষ দেওয়ার খবর প্রকাশ্যে এসেছে। নিরাপত্তা সংস্থা থেকে প্রশাসন সকলেই তৎপর ঠিক কী হয়েছে তা জানতে।
আরও পড়ুন:
- 25 বছর পর মুম্বই পুলিশের জালে ছোটা শাকিল গ্যাংয়ের সদস্য়
- দাউদ ও ছোটা শাকিলের মাথার দাম ঘোষণা করল এনআইএ
- 10 নভেম্বর নিলামে উঠছে দাউদ ইব্রাহিমের সম্পত্তি