কারামানমারাস (তুরস্ক), 10 ফেব্রুয়ারি:বাবা বলেছিল অপেক্ষা করতে । ফলে জাহাজের ডেকে আগুন লাগার পরেও বাবার কথামতোই দাঁড়িয়ে ছিল ক্যাসাবিয়াঙ্কা । ফেলিসিয়া হেমানসের কবিতা দেখিয়েছিল, আদেশ নয়, বাবার প্রতি ভালোবাসাই আটকে রেখেছিল ক্যাসাবিয়াঙ্কাকে । সেই চিত্রই এদিন অশ্রুসজল চোখে বিশ্ব দেখল তুরস্কের কারামানমারাসে (Father refusing to let go of dead daughter shakes internet) ।
6 ফেব্রুয়ারি ভয়াবহ বিপর্যয়ে কেঁপে ওঠে তুরস্ক ও সিরিয়ার বেশ কিছু অঞ্চল ৷ তথ্য বলছে, সীমান্ত এলাকার এই ভয়াবহ দুর্যোগ শুরু হয় কাকভোরে ৷ তখন বেশিরভাগ মানুষই গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন ৷ কোনও কিছু বুঝে ওঠার আগেই বিপর্যয়ের মুখে পড়েন তাঁরা ৷ তেমনই একজন মেসুত হ্যান্সার (Chilling photo of Turkish father) । একখণ্ড পাথরের নীচ থেকে একটুখানি বেরিয়ে আছে মেয়ে ইরনাকের হাত, দেহে প্রাণের অস্তিত্ব নেই । তাই নিজের মুঠোর মধ্যে নিয়ে বসে রয়েছেন হতভাগ্য বাবা ।
বাকিদের মতোই ভোররাতে ঘরেই ঘুমাচ্ছিলেন মেসুত । পাশেই ছিল ছোট মেয়ে, ইরনাক । ভয়াবহ ভূমিকম্পে বাড়ি ভেঙে যায় । চাপা পড়ে যায় মেসুত ও তাঁর পরিবার । ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে মেসুতকে । খুঁজে পাওয়া গিয়েছে ইরনাককেও । কিন্তু তার দেহে আর প্রাণ নেই । এখনও ইট-কাঠ-পাথরের নীচেই চাপা পড়ে রয়েছে তার দেহ । তাঁর ছবি তুলতে গিয়ে চোখ ফেটে জল এসেছে চিত্রগ্রাহকেরও । এজেন্স ফ্রান্স প্রেসের (Agence France Presse) প্রবীণ ফটোগ্রাফার অ্যাডেম আলতানের (Photographer Adem Altan) ছবি কাঁদিয়ে দিয়েছে গোটা বিশ্বকে ।