টরেন্টো, 22 সেপ্টেম্বর: দেশে ঘৃণার কোনও স্থান নেই ৷ শুক্রবার এমনটাই জানাল কানাডা সরকার ৷ সামাজিক মাধ্যমে একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে ৷ তাতে হিন্দুদের কানাডা ছেড়ে চলে যাওয়ার কথা জানানো হচ্ছে ৷ এই প্রসঙ্গে দেশের সরকার সাফ জানিয়েছে, কোনও হিংসা, ঘৃণা, হুমকি দেওয়া, ভয় পাওয়ানোর জায়গা নেই কানাডায় ৷
সামাজিক মাধ্যম এক্সে (টুইটার) কানাডার নিরাপত্তা দফতর এই বিষয়টি জানিয়েছে ৷ দেশের জনগণের সুরক্ষা, জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থাপনা, জাতীয় সুরক্ষার দায়িত্ব রয়েছে পাবলিক সেফটি দফতরের ৷ তারা জানিয়েছে এই ভিডিয়োটি আপত্তিকর ৷ কানাডার নাগরিকদের মধ্যে হিংসা উসকে দেওয়াই এর মূল উদ্দেশ্য ৷ তবে দেশে এর জায়গা নেই ৷
সামাজিক মাধ্যমে পাবলিক সেফটি দফতর লিখেছে, "আমরা কানাডার নাগরিকদের কাছে আর্জি জানাচ্ছি, আপনারা একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধা বজায় রাখুন ৷ আইনের নিয়ম মেনে চলুন ৷ প্রতিটি সম্প্রদায় যেন নিরাপদে থাকে ৷ এটা তাদের অধিকার ৷"
এদিকে খালিস্তানপন্থী এক নেতার হত্যা নিয়ে ভারত ও কানাডার মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের টানাপোড়েন চলছে ৷ এবছরের 18 জুন কানাডায় খুন হন নিষিদ্ধ খালিস্তানি সংগঠনের নেতা হরদীপ সিং নিজ্জার ৷ নিজ্জার ভারতে মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকাভুক্ত ছিল ৷ এনআইএ তাঁর সন্ধানে কয়েক লক্ষ টাকা পুরস্কারও ঘোষণা করেছিল ৷ কিন্তু তিনি কানাডার নাগরিক ছিলেন ৷ দু'জন দুষ্কৃতী ব্রিটিশ কলাম্বিয়ায় একটি গুরুদ্বারার বাইরে তাঁকে গুলি করে হত্যা করে ৷
তাঁর মৃত্যুতে ভারতের এজেন্সি জড়িত বলে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ৷ তবে এই অভিযোগ ভিত্তিহীন এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে পালটা অভিযোগ করেছে ভারত সরকার ৷ কানাডায় জঙ্গি সংগঠনের সদস্যরা আশ্রয় পাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছে ভারত ৷
আরও পড়ুন: হরদীপ-হত্যায় ঘুরপথে ফের ভারতকে নিশানা করেও একসঙ্গে পথচলার বার্তা ট্রুডোর
দুই দেশের এই দ্বন্দ্বের মাঝে কানাডায় ভারতের এক শীর্ষ কূটনীতিককেও বহিষ্কার করা হয়েছে ৷ এর পালটা জবাবে 19 সেপ্টেম্বর ভারতে থাকা কানাডার এক শীর্ষ কূটনীতিককেও বহিষ্কার করেছে বিদেশমন্ত্রক ৷