লন্ডন, 10 জুন: ব্রিটেনের সংসদের সদস্য রইলেন না প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ৷ শুক্রবার সাংসদ হিসেবে পদত্যাগ করলেন ৷ জানা গিয়েছে, দলীয় কেলেঙ্কারিতে সংসদকে বিভ্রান্ত করার জন্য তাঁকে শাস্তি দেওয়া হতে পারে ৷ এই কথা জানার পরই সাংসদ পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন তিনি ৷ স্বভাবতই এই খবর চমকে দিয়েছে ব্রিটেনের নাগরিকদের।
করোনা অতিমারীর সময় 'পার্টিগেট' সম্পর্কে সংসদে বিভ্রান্তিকর বিবৃতি দিয়েছিলেন বরিস ৷ সে বিষয়ে তদন্ত হয় ৷ সেই তদন্তের ফলাফল হাতে পাওয়ার পরই পদত্যাগ করলেন ৷ এ দিন পদত্যাগ নিয়ে দীর্ঘ বিবৃতিও দেন জনসন ৷ তাতে তিনি অভিযোগ করেন, বিরোধীরা তাঁকে সংসদ থেকে তাড়ানোর চেষ্টা করছে। পাশাপাশি আবারও সংসদে ফিরে আসতে পারেন এমন ইঙ্গিত দিয়ে তিনি জানান, তাঁর ঘটনাবহুল রাজনৈতিক জীবন এখানেই শেষ হচ্ছে না। তবে আপাতত সংসদ ত্যাগ করা তাঁর কাছে যে খুবই দুঃখজনক তাও সুকৌশলে জানিয়েদেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী।
58 বছর বয়সী এই নেতা জানান, তিনি প্রিভিলেজস কমিটির কাছ থেকে একটি চিঠি পেয়েছেন ৷ তা থেকেই স্পষ্ট, বিরোধী দলগুলি তাঁকে সংসদ থেকে তাড়ানোর জন্য মামলা করতে বদ্ধপরিকর । এমনিতে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্ত করতে সংসদে একটি কমিটি তৈরি হয়েছে। সেই কমিটিতে সরকার ও বিরোধ উভয় দলের সদস্যরাই রয়েছেন। সেই কমিটিকে তিনি 'ক্যাঙ্গারু কোর্ট' বলে বরিস অভিহিত করেছেন । তিনি বলেন, "প্রথম থেকেই কমিটির লক্ষ্য ছিল ঘটনা নির্বিশেষে আমাকে দোষী সাবস্ত করা ৷" তিনি পদত্যাগ করায় হাউস অফ কমন্সে শহরতলির লন্ডন আসনটি খালি হয়েছে ৷ সেই আসন দ্রুত পূরণের জন্য বিশেষ নির্বাচনের করা হবে বলে জানা গিয়েছে ।
আরও পড়ুন:ঋষিকে ঠেকাতে আসরে বরিস ! তড়িঘড়ি ব্রিটেনে ফিরলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী
দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে বিভিন্ন কেলেঙ্কারিতে নাম জড়িয়েছে বরিসের ৷ তবে তিনি সেসব থেকে বেরিয়ে এসে সক্রিয় রাজনৈতিক নেতা হিসাবে নিজেকে তুলে ধরেছেন ৷ এই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী 2020 এবং 2021 সালে সরকারী ভবনগুলিতে লকডাউনের নিয়ম লঙ্ঘনকারী বেশ কয়েকটি জমায়েত সম্পর্কে সংসদে বিভ্রান্তিকর বিবৃতি দিয়েছেন ৷ হাউস অফ কমন্স স্ট্যান্ডার্ড কমিটি তার তদন্ত করছে ৷ এতদিন সেই তদন্তের ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করছিলেন তিনি । তা সামনে আসায় বরিস জনসন সাংসদ হিসাবে পদত্যাগ করলেন ৷