কিনশাসা (কঙ্গো), 15 এপ্রিল: 42 জনকে হত্যা করার অভিযোগ উঠল কঙ্গোতে ৷ পূর্ব কঙ্গোর ইতুরি প্রদেশে এই ঘটনাটি ঘটেছে ৷ নাগরিক সমাজের হয়ে কাজ করা একটি সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, স্থানীয় একটি বিদ্রোহী গোষ্ঠী শুক্রবার এই ঘটনা ঘটিয়েছে ৷
বানিয়ারি কিলো এলাকায় ওই সংগঠনের সভাপতি ডিউডোন লোসা জানান যে আফ্রিকা মহাদেশের ওই দেশের ডিজুগু অঞ্চলের তিনটি শহরে কোডেকো মিলিশিয়া গোষ্ঠীর আক্রমণেই এই ঘটনা ঘটেছে ৷ মূল হামলা হয়েছে ওই বানিয়ারি কিলো এলাকাতেই ৷
তিনি আরও জানান, হামলাকারীরা শুধু হত্যালীলাই চালায়নি, তার সঙ্গে এলাকার বহু বাড়িও পুড়িয়ে দিয়েছে ৷ ঘটনায় সাতজন গুরুতর আহত হয়েছেন ৷ কিন্তু এখনও তাঁদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা যায়নি ৷ ফলে তাঁদের বাঁচানো যাবে কি না, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে ৷
স্থানীয় সেনাবাহিনীর তরফে এই আক্রমণের কথা স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে ৷ এই ঘটনার পিছনে যারা রয়েছে, তাদের সন্ধান শুরু হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে কঙ্গোর সেনার তরফে ৷
তবে কঙ্গোতে এই ধরনের আক্রমণের ঘটনা নতুন নয় ৷ 2017 সাল থেকে মিলিশিয়া গোষ্ঠীগুলির মধ্যে গোলমাল চলছে ৷ এই লড়াইয়ের দুই পক্ষের একদিকে রয়েছে কোডেকো ৷ মূলত লেন্দু মিলিশিয়া গোষ্ঠীগুলির বিভিন্ন জাতিদের নিয়ে এই সংগঠন তৈরি করা হয়েছে ৷ অন্যদিকে রয়েছে জায়রা, হেমা আত্মরক্ষামূলক সংগঠনগুলি নিয়ে এই সংগঠন তৈরি করা হয়েছে ৷
সম্প্রতি এই গোষ্ঠীগুলির মধ্যে সংঘর্ষের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে ৷ গত ফেব্রুয়ারিতেই এমন একটি গণহত্যার অভিয়োগ ওঠে ৷ তখন 32 জনকে খুন করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে ৷ গত ডিসেম্বরেই এই বিদ্রোহী সংগঠনগুলি নিয়ে সতর্কবার্তা দিয়েছিল রাষ্ট্রসঙ্ঘ ৷ তখন তারা জানিয়েছিল, ওই বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলি নিজেদের এলাকা বৃদ্ধি করছে ক্রমশ ৷ এছাড়া কঙ্গোর সাধারণ নাগরিকদের উপরও আক্রমণ করছে ৷ অত্যাচার করছে ৷ পর পর দুই মাসের ব্যবধানে এই হত্যার ঘটনা সেই আশঙ্কাকেই ক্রমশ সত্যি করছে ৷
জানা গিয়েছে, যে অঞ্চলে এই ঘটনা ঘটে সেখানে মূলত খনিজ সম্পদের দখল নিয়েই লড়াই চলে ৷ সেখানে শতাধিক গোষ্ঠী এই নিয়ে সক্রিয় ৷ তাদের মধ্যে লড়াইয়ের জেরে কখনও কখনও প্রাণ হারাতে হয় সাধারণ মানুষকে ৷
আরও পড়ুন:মায়ানমারে সাগাইং এলাকায় এয়ারস্ট্রাইক, মৃত কমপক্ষে 100