কাঠমাণ্ডু, 5 নভেম্বর:ফের কেঁপে উঠল নেপাল ৷ আজ, রবিবার ভোর 4:38 মিনিটে কাঠমাণ্ডুর 169 কিলোমিটার উত্তরে 10 কিলোমিটার গভীরে কম্পন অনুভূত হয় ৷ রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল 3.6 ৷ এদিকে শুক্রবারের জোরালো ভূমিকম্পের অভিঘাত এতটাই ছিল যে, তার প্রভাবে কেঁপে উঠেছিল দিল্লি-এনসিআরের মাটিও। কম্পন অনুভূত হয়েছিল বিহারেও। বেশ কিছুক্ষণ ধরে টের পাওয়া গিয়েছিল কম্পন। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল 6.4। সেই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত 157 জনের মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
আহতের সংখ্যাও বহু ৷ মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে প্রশাসন। এর পাশাপাশি গতকাল, শনিবারও একটি 4.2-মাত্রার আফটারশক আঘাত হানে নেপালে ৷ যার ফলে 157 জনের বেশি প্রাণহানি হয়েছে। কম্পনের ফলে নেপাল এবং ভারতের প্রভাবিত এলাকার বহু মানুষ আতঙ্কে নিজেদের বাড়ি ছেড়ে রাস্তায় নেমে আসেন। 6.4 মাত্রার জোরালো কম্পনে পাহাড়ের কোলে সাজানো শহর যেন ধ্বংসস্তূপ। উদ্ধারকাজ এখনও চলছে। তার মাঝেই রবিবার আবার ভূমিকম্প হল। নেপালের বাসিন্দারা যা নিয়ে আতঙ্কিত।
শুক্রবার রাতে নেপালের কম্পনের আঁচ এসে পৌঁছয় ভারতেও। দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ এবং বিহারের বিস্তীর্ণ অংশে সে দিন কম্পন অনুভূত হয়েছিল। নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দহল ভূমিকম্প কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। হেলিকপ্টারের মাধ্যমে চলছে উদ্ধারকাজ। ভারত থেকেও সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে পড়শি দেশকে। নেপালে থাকা ভারতীয়দের সহায়তার জন্য হেল্পলাইন নম্বর প্রকাশ করেছে নেপালে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাস।
এর আগে 2015 সালে ভয়াবহ ভূমিকম্পের সাক্ষী হয়েছিল। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল 7.8 । প্রবল এই ভূমিকম্পের প্রভাব পড়েছিল পশ্চিমবঙ্গেও । কেঁপে উঠেছিল শিলিগুড়ি-সহ উত্তরঙ্গে একাধিক জেলা। বেশ কিছু বাড়িতে ফাটলও দেখা গিয়েছিল। সেই প্রবল প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের রেশ কাটাতে বেশ কিছুটা সময় লেগেছিল। নেপালের অর্থনীতির অনেকটাই নির্ভর করে পর্যটনের উপর। সেই পর্যটনও প্রবল ক্ষতির মুখে পড়েছিল। বছর নয়েকের মধ্যে আবারও সেই আতঙ্ক ফিরল হিমালয়ের কোলে ছবির মতো সুন্দর ছোট্ট দেশটায়।
আরও পড়ুন:দগদগে স্মৃতি উসকে দিল ভূমিকম্প, চারিদিকে হাহাকার; দেখুন ভিডিয়ো